আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের সাবেক সেক্রেটারি এস এম হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সমবায় সচিব, সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মূবিনা আসাফ এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল জারিসহ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, বিভিন্ন অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমবায় অধিদপ্তরে রিট আবেদনকারীর দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে মহাপরিচালকের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ফরিদ হাসান মেহেদী গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক সেক্রেটারি এস এম হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নামে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, বিভিন্ন অনিয়ম ও অডিটের নামে চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে বোর্ড মিটিং ডাকাসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগ ওঠার পর গত ১৯ অক্টোবর তলবি বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় সাবেক সেক্রেটারি এস এম হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তিনি বলেন, রিট আবেদনকারী ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে যথাযথ নিয়মে ওই সভার সিদ্ধান্ত গত ২২ অক্টোবর সমবায় অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। এছাড়া এস এম হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ১০ নভেম্বর সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করা হয়।
আইনজীবী জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এস এম হারুন অর রশিদের সাধারণ সদস্য পদেও থাকার সুযোগ নেই। এরপরও এস হারুন অর রশিদ নিজেকে সেক্রেটারি পরিচয় দিয়ে বিভিন্নভাবে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করেছেন। যার প্রেক্ষিতে তার বিভিন্ন দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হয়েছে।
এফএইচ/এমআরএম/এএসএম