মোরগের আকৃতির বিল্ডিং বানিয়ে বিশ্বরেকর্ড

0
2


বিভিন্ন আকৃতির বিল্ডিং নজরে পড়েছে হয়তো অনেকের। দেশের কিংবা বিদেশের জুতা, মাছ, জাহাজ, গাড়িসহ নানান আকৃতির গাড়ি নানান কারণে অনেকে বানিয়েছেন। এবার বিশাল এক মোরগের আকৃতির বিল্ডিং বানিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছে ফিলিপাইন এক রিসোর্ট মালিক।

ফিলিপাইনের নিগ্রোস অক্সিডেন্টাল প্রদেশের ক্যাম্পুয়েস্টোহান হাইল্যান্ড রিসোর্ট সম্প্রতি সর্বোচ্চ মোরগ আকৃতির ভবনের জন্য গিনেস রেকর্ডে ভূষিত হয়েছে। ১১৪ ফুট ৭ ইঞ্চি (৩৪.৯৩১ মিটার) লম্বা, উচ্চতায় ১২.১২৭ মিটার (৩৯ ফুট ৯ ইঞ্চি) প্রস্থ ২৮.১৭২ মিটার (৯২ ফুট ৫ ইঞ্চি) দৈর্ঘ্য ক্যাম্পুয়েস্টোহান হাইল্যান্ড রিসোর্টের রুস্টার হোটেলটি বেশ দৃষ্টিনন্দন।

এটি কেবল গৃহপালিত পাখির মতোই নয়, বাস্তবে একটি দৈত্যাকৃতির সত্যিকার মোরগের মতো দেখায়, যা বেশ প্রভাবশালী অবস্থানের সঙ্গে পুরো এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে। রিসোর্টের পরিচালক রিকার্ডো ক্যানো গোয়াপো টান বলেন যে, তিনি এমন কিছু নজরকাড়া তৈরি করতে চেয়েছিলেন যা স্থানীয় সংস্কৃতিকেও শ্রদ্ধা জানায়, যার মধ্যে গেমফাউল একটি বিশাল অংশ।

আরও পড়ুন

বিল্ডিংটি ১৫ কক্ষ বিশিষ্ট একটি হোটেল, যেখানে এয়ার কন্ডিশনার, বড় আরামদায়ক বিছানা, বড় টিভি এবং গরম ঝরনা রয়েছে যেখানে ছোট বা বড় পরিবার এসে ছুটির দিনগুলোতে বিশ্রাম নিতে পারে।

অনন্য আকৃতির বিল্ডিংটির ডিজাইন বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষ করে যখন বিল্ডিংটিকে ঝড় এবং টাইফুন সহ্য করতে হয়, যা এই অঞ্চলে সাধারণ। তা সত্ত্বেও মাত্র ৪৫৬ দিনে নির্মাণকাজ শেষ হয়।

২০১০ সালে ক্যাম্পুয়েস্টোহান হাইল্যান্ড রিসোর্টের জন্য এই জমিটি রিকার্ডোর স্ত্রী নীতা কিনেছিলেন। রিকার্ডো বলেন, এখানে এসে তারা পাহাড়ের মন্ত্রমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল। পর্যান্ত রাস্তা ও বিদ্যুতের অভাব সত্ত্বেও তিনি সেখানে একটি রিসোর্ট নির্মাণ শুরু করেন।

তিনি রিসোর্টের বিল্ডিংটি একটি বিশাল আকারের মোরগের আকৃতির করবেন বলে সিন্ধান্ত নেন। এর পেছনে অবশ্য একটি কারণ আছে বটে। নিগ্রোস অক্সিডেন্টালের একটি গেমফাউল শিল্প রয়েছে, যা ফিলিপাইনে লাখ লাখ লোককে নিয়োগ করে। তারা মনে করেন, মোরগ প্রবল বাতাসের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে এবং অন্যান্য মোরগের চাপ সহ্য করতে পারে, জীবনের যে কোনো ধরনের অসুবিধা ও কষ্ট থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা আছে মোরগের। এমনটাই মনে করেন নেগ্রেন্স লোকেরা।

রিসর্টটি একটি বিশাল ওয়েভ পুল, একটি বড় রেস্তোরাঁ, একটি ক্যাফে, তিনটি সুইমিং পুল, হোটেল রুম, বনিতা কুঁড়েঘর, শত শত ডাইনোসর এবং কার্টুন/মার্ভেল চিত্র রয়েছে। অবশ্যই একটি মুরগির আকারে বৃহত্তম ভবন নিয়ে ভাবছে তারা। ভবনটি গিনেস রেকর্ডে জায়গা করে নেওয়ায় রিকার্ডোর পরিবারসহ এই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ সবাই গর্বিত।

আরও পড়ুন

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।