বিদেশে অর্থপাচারকারীরা দেশ ও জাতির শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট । তাদের নাম প্রকাশ না হলে অপরাধ কমবে না বলে মনে করেন উচ্চ আদালত । বিদেশে । অর্থপাচারকারীদের নাম , ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে র্যাবের স্বপ্রণোদিত আদেশ দেয়ার আগে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সাহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলে।পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তাও জানতে চেয়েছেন রুলে ।
সম্প্রতি কানাডার বেগম পাড়ায় বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ , সরকারি কর্মকর্তা – কর্মচারীদের সম্পত্তি নিয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড . একে আবদুল মোমেন জানান , অর্থপাচারকারীদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা – কর্মচারীদের সংখ্যাই বেশি ।
এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র – পত্রিকায় সংবাদও ছাপা হয় । বিষয়টি আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট ।
একই সাথে আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারকারী সরকারি কর্মকর্তা – কর্মচারীদের তালিকা জমা দিতে নির্দেশ দেন আদালত । আদালত বলেন , যারা মানিলন্ডারিং করছেন তারা দেশ ও জাতির শত্রু । অর্থ পাচারে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্ট ।
বাংলাদেশ ব্যাংক , দুদক চেয়ারম্যান , এনবিআরের চেয়ারম্যান , স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে ।