নাচ-গান-আবৃত্তি-অভিনয় এবং বাদ্যযন্ত্রের সুরেলা ঐকতানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে স্মরণ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘কালচারে জুলাই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থান জুলাই জাগরণী’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। পুরো আয়োজন জুড়ে ছিল নাচ-গান-আবৃত্তি-মূকাভিনয়। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে আয়োজন চলে রাত পর্যন্ত।
বাংলাদেশের ইতিহাসের তীব্রতম ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার ও স্মৃতি ধরে রাখার প্রয়াসের অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক কমিটি এ আয়োজন করে। আয়োজনের শুরুতেই জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন।
তিনি বলেন, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফ্যাসিজম আমাদের গোটা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে কলুষিত করেছে। সবকিছু নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনও নষ্টদের দখলে চলে গিয়েছিল। আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে আমাদের শিল্পীরা যে প্রতিবাদের দুর্গ গড়ে তুলেছিল সেটি আমাদের নতুন পথচলার প্রেরণা যুগিয়েছে। ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে আমাদের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে কলুষমুক্ত করেছে।
বক্তারা বলেন, দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত করে রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখার লক্ষ্য সামনে রেখে অভ্যুত্থানের প্রহরী এবং নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সংগঠক চায় নাগরিক কমিটি।
সংকীর্ণ দলীয় কিংবা গোষ্ঠী স্বার্থের ঊর্ধে উঠে জাতীয় স্বার্থ চিহ্নিত করা এবং জাতীয় স্বার্থে ছাত্র-জনতার সংহতি নিশ্চিত করাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি অগ্রাধিকার হিসেবে গ্রহণ করেছে বলেও জানান বক্তারা।
এমএইচএ/এমকেআর