এবার শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি

0
3


কি হচ্ছে বলিউডে? সালমান খান ও তার বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এবার এলো বলিউড বাদশাহ শাহরুখকে হত্যার হুমকি। বিষয়টি ভারতজুড়েই বেশ চিন্তার জন্ম দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ভারতের ছত্তিশগড় থেকে মুম্বাই পুলিশের কাছে একটি উড়োফোন আসে। সেই ফোনে শাহরুখকে হত্যার হুমকি দিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেছে এক অজ্ঞাতনামা যুবক।

ওই ফোন পাওয়ার পর থেকে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। ফোনের লোকেশন যাচাই করে এরইমধ্যে ছত্তিশগড়ে পৌঁছেছে তারা। পুলিশ জানিয়েছে, এই উড়োফোনের আড়ালে আছে ফয়জান নামের এক যুবক। তাকে খোঁজার চেষ্টা চলছে।

এই ব্যক্তি কোনো সন্ত্রাসী দল বিশেষ করে লরেন্স বিষ্ণোইর দলের সদস্য কিনা, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সালমানকে হত্যার হুমকির সঙ্গে শাহরুখের এ ঘটনার কোনো যোগাযোগ আছে কিনা তা নিয়েও চলছে তদন্ত।

এদিকে শাহরুখ খানের নিরাপত্তা নিয়েও তৎপর পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, নিরাপত্তার শঙ্কায় এবার নিজের জন্মদিনে বেশ সতর্ক ছিলেন শাহরুখ খান। পুলিশের পরামর্শ মেনেই তিনি নিজেকে নিরাপদ রেখেছেন। প্রতি বছর জন্মদিনের রাতে মান্নাতের বারান্দায় এসে ভক্তদের দেখা দেন শাহরুখ খান। তবে এ বছর তা হয়নি। তার বাড়ির সামনে হাজারো ভক্ত জড়ো হলেও এবার শাহরুখ আসেননি। অন্যবারের চেয়ে এবার তার বাড়ি ঘেরা ছিল কড়া নিরাপত্তার চাদরে।

এমনকি, বাড়ির সামনে যাতে বেশি ভিড় না জমে, সেদিকেও নজর ছিল। পরে জন্মদিনের সন্ধ্যায় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কিছু ভক্তের সঙ্গে দেখা করেন শাহরুখ।

জন্মদিনে এমন নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য মুম্বাই পুলিশকে ধন্যবাদ জানান বলিউড বাদশাহ। মান্নাতের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যদের খাবারের বাক্স পাঠিয়েছিলেন। সঙ্গে লিখে দিয়েছিলেন থ্যাঙ্ক ইউ নোট।

তবে শাহরুখ যে এবারই প্রথম হত্যার হুমকি পেলেন তা নয়। এর আগে, ‘পাঠান’ ও ‘জওয়ান’-এর সাফল্যের পর ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল তাকে। ওই ঘটনার পর মুম্বাই পুলিশ শাহরুখকে ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছিল। সেই সময় ২৪ ঘণ্টা তার পাশে থাকতেন ৬ জন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী। এবারও নিরাপত্তার কঠিন বলয়ে থাকতে হবে এই অভিনেতকে।

এলএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।