অধস্তন (বিচারিক) আদালতের বিচারকদের জন্য বদলি ও পদায়ন নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এ নীতিমালা সম্পর্কে বিচারকদের মতামত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
৭ নভেম্বরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তর বা ই-মেইল অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে রোববার (৩ নভেম্বর) বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশ্যে অভিভাষণ দেন।
প্রধান বিচারপতি তার অভিভাষণে দেশের বিচার বিভাগের জন্য একটি রোডম্যাপ তুলে ধরেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণে অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদায়ন নীতিমালা, ২০২৪ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়।
তিন বছরের বেশি এক কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন না করা (বিশেষ ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি চাইলে এক বছর বাড়াতে পারবেন), চৌকি আদালতে পদায়নের মেয়াদকাল হবে এক বছর, দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন, শূন্য পদ ছাড়া বদলি না করার বিষয় খসড়ায় যুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া রয়েছে যে আদালতে পরিবারের কেউ (স্বামী, স্ত্রী, বাবা, মা, শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাই, বোন, নানা, দাদা) আইনজীবী আছেন, সেই আদালতে বদলি করা যাবে না, যেখানে বিচারক ১০ শতাংশ জমি কিনেছেন, সেই জেলায় বদলি করা যাবে না, স্বামী-স্ত্রী বিচারক হলে একই কর্মস্থলে বদলির অগ্রাধিকার পাবেন, বছরের নভেম্বর মাসে বদলি সম্পন্ন করতে হবে, তিন বছরের বেশি প্রেষণ নয় ইত্যাদি।
এফএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস