সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পুলিশের কাছ থেকে ফিরোজ (৪০) নামে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বজনদের বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে তাড়াশ পৌরসভার মঙ্গলবাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ফিরোজ একই পৌরসভার শোলাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে।
রাত ৯টার দিকে তাড়াশ থানার ওসি আসলাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, দুপুরে মঙ্গলবাড়িয়া বাজারে সাজাপ্রাপ্ত ফিরোজ নামের এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মন্টু মিয়া। পরে পুলিশ আসামির নাম পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ফিরোজকে আটক করে। এ সময় চায়ের দোকানে বসে থাকা স্থানীয় ওমর আলী ও জিল্লুর রহমানসহ ১৫ থেকে ২০ জন লোক আসামিকে হাতকড়া পরানোর আগেই পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
আসামি গ্রেফতার ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ওসি জানান।
স্থানীয়রা জানান, ফিরোজ নাটোরের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বাকিতে মালামাল নিয়ে তাকে একটি ব্যাংক চেক প্রদান করেন। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ফেরত দেয়। পরবর্তীতে ওই ব্যবসায়ী নাটোর দেওয়ানি আদালতে তার পাওনা টাকার দাবিতে মামলা করেন। পরে আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামিকে আট লাখ ৯৩ হাজার ৮৭০ টাকা অর্থদণ্ড ও এক বছরের বিনাশ্রম সাজা প্রদান করেন।
তবে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ওমর আলী বলেন, ফিরোজকে পুলিশ ধরেছে শুনে সেখানে গিয়ে শুধু পুলিশের নাম পরিচয় জানতে চেয়েছি। এর একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে বাজারের বেশকিছু লোকজন জড়ো হয়। এই সুযোগে ফিরোজ পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকা আমাদের সবাইকে ভিডিও করে নিয়ে যায়। এখন শুনছি আমাদের নামে নাকি আসামি ছিনতাই মামলা হবে।
এম এ মালেক/এফএ/এমএস