অ্যান্টিগা টেস্টের ৩য় দিনশেষে হারের মুখে টাইগাররা। সাকিব-সোহানের হাফসেঞ্চুরির পরও জয়ের জন্য মাত্র ৮৪ রানের লক্ষ্য পেয়েছে ক্যারিবীয়রা। ঐ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পেসার খালেদের নৈপুণ্যে ৯ রানে ৩ উইকেট হারালেও দিন শেষে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গেছে স্বাগতিকরা। জয়ের জন্য তাদের দরকার আর মাত্র ৩৫ রান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ক্যারিবীয়রা। ২য় ইনিংসের ২য় ওভারের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। একই ওভারে রিফারকেও উইকেটের পেছনে সোহানের গ্লাভস বন্দি করেন পেসার খালেদ আহমেদ।
এক ওভার পরে আবারও খালেদের স্ট্রাইক। এবার শূন্য রানে বোনারের উইকেট উপড়ে ফেলেন এই টাইগার পেসার। খালেদের এমন রূদ্রমূর্তির পরও অবশ্য দিন শেষে স্বস্তি নেই টাইগার শিবিরে। শেষ ভালো যার সব ভালো তার, এই কথাটি দিনশেষে প্রযোজ্য হলো না বাংলাদেশের জন্য। কারণ, ক্যারিবীয়দের সামনে লক্ষ্যটা মাত্র ৮৪ রানের। যা টপকে যাওয়ার ভিত এরই মধ্যে গড়ে দিয়েছেন ক্যাম্পবেল আর সহ অধিনায়ক জার্মেইন ব্ল্যাকউড।
এর আগে, ২ উইকেটে ৫০ রান নিয়ে ৩য় দিনের খেলা শুরু করেন জয় ও শান্ত। তবে দিনের প্রথম সেশনে কাইল মায়ার্স ১৭ রানে শান্তকে আর মুমিনুলকে মাত্র ৪ রানে বিদায় করে দিলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর বল হাতে জ্বলে ওঠেন কেমার রোচ। লিটনকে ১৭ আর জয়কে ৪২ রানে সাজঘরে ফেরান এই ক্যারিবীয় পেসার। ১০৯ রানে যখন ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন হয় তখনও ৫৩ রানে পিছিয়ে টাইগাররা।
ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে ৭ম উইকেটে সোহানের সাথে জুটি গড়েন অধিনায়ক সাকিব। এই দুই ব্যাটার ১২৩ রানের জুটি গড়েও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। সাকিবকে ৬৩ রানে আউট করার পর সোহানকেও ৬৪ রানে ফিরিয়ে ক্যারিবীয়দের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন কেমার রোচ। তার ৫ উইকেট শিকারে শেষ পর্যন্ত ২৪৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
এরপর মাত্র ৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরাও খেই হারায়। কিন্তু ক্যাম্পবেলের ২৮ আর ব্ল্যাকউডের ১৭ রানে সেই শঙ্কা কাটিয়ে ওঠে ক্যারিবীয়রা। বাকি ৩৫ রান করে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার জন্য টেস্টের চতুর্থ দিনে মাঠে নামবে উইন্ডিজ। আর ৭ উইকেট শিকারের কঠিন মিশন সাকিব বাহিনীর সামনে।
আরও পড়ুন: এক বছরে দুই ফরম্যাটে ৬৩টি ক্যাচ মিস করেছে টাইগাররা
/এম ই