রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখতে ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় অস্ত্রের চালান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশাল এই বহরে রয়েছে, ৫ কোটির বেশি গোলা, হাজারের বেশি ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল, অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার ও ড্রোন। সমরাস্ত্রের চালান পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য আর জার্মানিও বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, বিশাল এ অস্ত্রের চালান যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার ইঙ্গিত।
শুধু যুদ্ধ যানই নয়, কিয়েভের জন্য নতুন করে আরও ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সমরাস্ত্রের বিশাল চালান প্রস্তুত করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে মোতায়েন থাকা প্রতিটি রুশ ট্যাংকের বিপরীতে ১০টি করে এন্টি ট্যাংক মিসাইল দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। এছাড়াও নতুন এ চালানে রয়েছে ৫ কোটির বেশি গোলা, হেলিকপ্টার, ড্রোনসহ বহু সমরাস্ত্র।
ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আবারও বলছি, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য কোনো সেনা পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র। আমরা শুধু রুশ আগ্রাসন থেকে পশ্চিমা বিশ্বের সুরক্ষায় সামরিক সহায়তা দিচ্ছি ইউক্রেনকে। এছাড়া পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে ন্যাটোর আরও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা যা বলি তা করে দেখাই।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, নতুন করে ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সহায়তা পাঠাচ্ছে জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। ব্রিটেন বলছে, পশ্চিমা বিশ্বের জন্য ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয় অপরিহার্য। মস্কোর ওপর আরও চাপ বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
তিনি বলেন, ইউক্রেনে আরও ভারি আগ্নেয়াস্ত্র, ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান পাঠানো উচিত, এ জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞার ভয়ঙ্কর প্রভাব দেখতে শুরু করেছে মস্কো। তাদের আরও কোনঠাসা করতে রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস কেনা বন্ধ করতে হবে।
ইউক্রেনে পশ্চিমাদের এ অস্ত্র সহায়তায় ক্ষোভ গোপন রাখেনি মস্কো। কিয়েভে এ সহায়তাকে সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে উস্কানি ও হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে তারা। রুশ প্রেসিডেন্ট সতর্ক করেছেন, প্রয়োজনে এমন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন।
এদিকে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, পশ্চিমা অস্ত্র সহায়তা আরও দীর্ঘায়িত করতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধকে।
/এসএইচ