জাতিসংঘে ১৪০টিরও বেশি দেশ সাধারণ পরিষদের পরপর দু’টি ভোটে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে নিন্দা জানিয়েছে। রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকে রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। অর্থাৎ রাশিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে গত ২৭ এপ্রিল বিবৃতি দিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রস।
তবে এসব ব্যবস্থা গ্রহণের পরও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না বলে জানান ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ হিসেবে বলেন, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ এখনো নিশ্চিন্ত নয়। আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞাসহ আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। রাশিয়া থেকে আমাদের অবশ্যই তেল ও গ্যাস আমদানি বন্ধ করতে হবে; যাতে এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধের অর্থায়নে পুতিনের আর কোনো সুযোগ নেওয়ার উপায় না থাকে। এর সাথে সাথে, ইউক্রেনের জনগণকে সমর্থন করার জন্য আমাদের অবশ্যই জোরালো ও কার্যকরভাবে মানবিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অসাধারণ শক্তি ও ঐক্য প্রদর্শন করেছে। যুক্তরাজ্য জি৭ ভুক্ত দেশ, ন্যাটো ও জাতিসংঘসহ অন্যান্য মিত্রদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। পুতিনের যুদ্ধকে দুর্বল করার জন্য এরইমধ্যে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আমরা রাশিয়ার জন্য ‘সবচেয়ে লাভজনক’ ডাব্লিউটিও মর্যাদা কেড়ে নিয়েছি এবং রাশিয়ান পণ্যের উপর শুল্ক বাড়িয়েছি। রাশিয়া প্রথমবারের মতো বহিরাগত ঋণ খেলাপের সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইউক্রেনকে অতি প্রয়োজনীয় সামরিক সহায়তা প্রদান করছি। ইউক্রেনের জয় আমাদের সকলের জন্য কৌশলগত কারণে একান্ত প্রয়োজনীয়। এই যুদ্ধে পুতিন জিতলে পৃথিবীর সব জায়গায় এমন আক্রমণকারীদের উৎসাহিত করবে এবং পৃথিবীর মানুষ আর কখনো নিরাপদ বোধ করবে না।
লিজ ট্রাস জানান, রুশ বর্বরতা মোকাবেলা করতে নিরাপত্তাহীনতায় আছে এমন দেশগুলোর পাশে দাঁড়াবে যুক্তরাজ্য।
তাছাড়া রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে যে সকল নিম্ন আয়ের দেশগুলো অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে তাদের সাহায্যও করবে তার দেশ।
জেডআই/