লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে হত্যার ঘটনায় জামাল উদ্দিন নামের একজনকে গ্রেফতার করছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানিয়েছেন, স্ত্রী রওশন আরা বেগমের সাথে বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ চলছিলো জামাল উদ্দিনের। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন তারা। গত ১৫ এপ্রিল পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে স্ত্রী রওশন আরা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন জামাল। এরই এক পর্যায়ে পাশেই ঘুমন্ত এক বছরের শিশু কন্যা নুসরাতকেও বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন তিনি।
পরে বাসার মালামালসহ দুইজনের লাশ ওয়ারড্রবে করে পিকআপে ভরে নোয়াখালীর উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা হন জামাল। কিন্তু নোয়াখালী না গিয়ে রামগঞ্জের দুটি পৃথক ব্রিজের নিচের খালে স্ত্রী ও কন্যার লাশ ফেলে দেন জামাল।
গত ১৯ এপ্রিল রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ি সড়কের পাশে হানুবাইশ ব্রিজের নিচে এক শিশু ও পার্শ্ববর্তী আলীপুর এসপি বাড়ির সামনের ব্রিজের নিচে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও কন্যাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন জামাল উদ্দিন। তবে হত্যাকাণ্ডটি তিনি একাই করেছেন বলে দাবি তার।
র্যাব-১১ (নোয়াখালী ক্যাম্প) এর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান, পারিবারিক বিরোধের জেরে স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে হত্যার দায়ে জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে জামাল উদ্দিন। এটি একটি মর্মান্তিত হত্যাকাণ্ড। রওশন আরা বেগমকে শ্বাসরোধ ও শিশু নুসরাতকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
/এসএইচ