ফরিদপুর প্রতিনিধি:
পবিত্র রমজানে জেলার হাসপাতাল, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় দরিদ্র মুসলিমদের মাঝে সেহেরি বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে ফরিদপুর জেলা পুলিশ। ১ রমজান থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে, চলবে শেষ রমজান পর্যন্ত। গত বছরও একইভাবে সেহেরি ও ইফতার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল জেলা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর পবিত্র রমজানে মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব ছিল। তখন বিভিন্ন কাজে জেলায় আসা মানুষ, হাসপাতালে রোগীর স্বজন ও শ্রমজীবীরা খাবার নিয়ে সংকটে পরে। বিশেষ করে যারা রোজা রাখবেন, সেহেরি খাবেন তারা পরে বেশি বিপদে। সেই দিকটা চিন্তা করে পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামানের নির্দেশনায় হাসপাতালে থাকা রোগীর স্বজন, ছিন্নমূল, শ্রমজীবী ও আটকে পরা অন্য জেলা থেকে আগতদের জন্য সেহেরি ও ইফতারের আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও একই কার্যক্রম পরিচালনা করছে জেলা পুলিশ।
ফরিদপুর পুলিশ লাইন্সের আরও ওয়ান আনোয়ার হোসেন জানান, পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান স্যারের নির্দেশনায় ও পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এই সেহেরি বিতরণ করা হচ্ছে। এ বছর আমরা শুধু মাত্র সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দরিদ্র ও অসহায় রোগীর স্বজনদের জন্য সেহেরির ব্যবস্থা করেছি। পুলিশ লাইন্স থেকে খাবার তৈরি করে প্রতিদিন শেষ রাতে পুলিশ সদস্যরা খাবার নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যায়।
তিনি জানান, অনেক দরিদ্র রোগী না খেয়ে বা হাসপাতাল থেকে দেয়া ১ জনের খাবার ২ জনে খেয়ে রোজা রাখেন, তাদের অনেকেই হোটেল বা রেস্টুরেন্ট থেকে কিনো খাওয়ার সামর্থ্য নেই। তাদের কাছে গিয়ে আমরা খাবারটা দিয়ে আসছি।
পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান বলেন, দেখুন পূর্বের পুলিশ আর এখনকার পুলিশের কাজের ধরন এক নয়। আমরা সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে চাই, তাদের পাশে থাকতে চাই, তাদের জন্যই তো আমাদের সকল কর্তব্য। আমাদের চাকরিটাও এখন আর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাও আমাদের কর্তব্য বলে আমি বিশ্বাস করি। সেই বিশ্বাস থেকে নিজের এবং জেলা পুলিশের সদস্যদের দেয়া অর্থে সাধ্যমত চেষ্টা করি।
ইউএইচ/