দেশের প্রখ্যাত আলেম ও খেলাফত মজলিস নেতা মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারির জানাযায় লাখো মানুষের সমাবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়াইল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ও এএসপি কে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন আশে পাশের দশ গ্রামের মানুষকে ঘরে রাখতে টহল দিচ্ছে পুলিশ। তবে মানুষের মধ্যে এটি নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
গত শনিবার জামেয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারির জানাযায় শনিবার লাখো মানুষের ঢল নামে। শুধু ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়াই নয় ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ সহ বৃহত্তর সিলেটের মানুষ ট্রাক, পিকআপ ভ্যান এ করে চলে আসে বেড়তলা এলাকায়।
এই জনসমাগম থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে এতো বিপুল সংখ্যক ণানুষ আসছে, প্রশাসন কী জানতো না ?
এটিকে প্রশাসনের ব্যর্থতা বলে দাবি করছেন এলাকার সচেতন নাগরিকরা।
জানাযায় অংশগ্রহণকারীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে যেমন পড়েছেন তাদের মাধ্যমে আরো অসংখ্য মানুষ সংক্রমিত হতে পারেন।
এখন মাদ্রাসার আশেপাশে অন্তত দশ গ্রামের মানুষকে ঘরে রাখতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। এই ক্রান্তিকালে মানুষের ঢল নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সড়াইল সার্কেলের এএসপি, থানার ওসি এবং ওসি তদন্তকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।