১৫তম ওভারেই খেলা বদলে যায়: মোসাদ্দেক

0
2


ম্যাচ জিতে উচ্ছ্বসিত জিম্বাবুয়ে দল।
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ও দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জেতায় তৃতীয় ম্যাচ পরিণত হয়েছিল অলিখিত ফাইনালে। এমন ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ১৫৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ৬০ রান তুলতেই টাইগাররা হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। তবে এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেনের ব্যাটে জয়ের স্বপ্নই দেখছিল বাংলাদেশ।

ম্যাচ থেকে টাইগাররা অনেকটাই ছিটকে পড়ে ১৫তম ওভারে। এই ওভারে বোলিংয়ে আসেন পেসার ব্রাড ইভানস। দ্বিতীয় বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান এই ফরম্যাটের সদ্যবিদায়ী অধিনায়ক রিয়াদকে। পরের বলে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনও কট আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ফলে জয়ের আশাও ফিঁকে হতে শুরু করে এই ওভারেই।

ম্যাচে শেষে অধিনায়ক মোসাদ্দেক সেই কথাই বললেন। অধিনায়কের বলেছেন, ইনিংসের প্রথম ১৪ ওভার আমরাই ভালো অবস্থানে ছিলাম। কিন্তু ১৫তম ওভারেই খেলা বদলে যায়। আফিফ ভালো খেলছিল। টি-টোয়েন্টিতে যদি শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসি তাহলে রান তাড়া করা কঠিন হয়ে পড়ে। সবাই জানে ওয়ানডেতে আমরা কতো ভালো দল। আশা করি, আমরা শক্তভাবে ফিরে আসব।

ম্যাচসেরা হয়েছেন রায়ান বার্ল। বার্ল বলেন, শুরুর দিকে উইকেট হারানোয় আমরা চাপেই ছিলাম। কিন্তু আমরা জানতাম আমাদের ভালো ব্যাটিং লাইন আপ আছে। আমরা নিজেদের ওপর আস্থা রেখেছি, ইতিবাচক খেলেছি এবং কয়েকটি সুযোগ লুফে নিয়েছি।

সিরিজে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন সিকান্দার রাজা। রাজা বলেছেন, আশা করি জয়ের ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে পারব। আজ জঙ্গুয়ে ও বার্ল যেভাবে খেলেছে সেটি দুর্দান্ত।

সিরিজজয়ী অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন বলেছেন, ম্যাচের শুরুর দিকে আমরা কিছুটা স্ট্রাগল করেছি। কিন্তু বার্ল এবং জঙ্গুয়ের মানসিকতা আমাদের ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছে। ওয়ানডেতে স্পিন বড় পার্থক্য গড়বে। আমাদেরকে সেটি আরও ভালো খেলতে হবে। বড় হতে চলেছে, আমাদের সেটা আরও ভালো খেলতে হবে।

এই প্রথম বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো জিম্বাবুয়ে। আগামী ৫ আগস্ট থেকে শুরু ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ওয়ানডেতে অন্য দুই ফরম্যাটের তুলনায় টাইগাররা বেশ শক্তিশালী। এর আগের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারলেও ওয়ানডেতে জেতে বাংলাদেশে। চলতি সফরেও টাইগাররা সেই ধারা অব্যাহত রাখতে পারে নাকি জিম্বাবুয়ে ফিরিয়ে আনতে পারে তাদের হারানো অতীত; সেটাই এখন দেখার বিষয়।

জেডআই/