রিয়াজ রায়হান:
লেদ মেশিন; রড ও পাইপ দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরিতে অতি জরুরি যন্ত্র। আবার এটি দিয়েই মরণাস্ত্র তৈরিও সম্ভব। পাইপ, কাঠ আর একটি লেদ মেশিন হলেই তৈরি করা যাচ্ছে দেশীয় মারণাস্ত্র। ফলে দুর্গম চরে এখনও সহজলভ্য আগ্নেয়াস্ত্র। হাত বাড়ালেই তা মেলে।
নোয়াখালী-হাতিয়া উপকূলের বিভিন্ন চর থেকে গেলো এক বছরে অন্তত অর্ধশত দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় একটি পাইপগান তৈরি করা যায় লেদ মেশিনে। কম টাকা, সহজলভ্য— এ কারণে স্থানীয় অপরাধীদের কাছে পাইপগান ও ওয়ান শ্যুটারের মতো দেশীয় অস্ত্রের চাহিদা বেশি।
উপকূলের এক অস্ত্রধারী জানান, বিদেশি অস্ত্রের দাম বেশি, তাই কম টাকায় কারিগরদের কাছে দেশি অস্ত্র বানাতে দেন।
দুই থেকে দশ হাজার টাকার মধ্যে এসব অস্ত্র তৈরি করছে অপরাধীরা। ডাকাতি, দস্যুতা, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে ব্যবহার করা হয় এসব আগ্নেয়াস্ত্র।
এক সময় অস্ত্রধারী বনদস্যুদের দাপটে অতিষ্ট ছিল নোয়াখালী-হাতিয়ার উপকূলের মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানে এখন অনেকটাই দস্যুমুক্ত উপকূল। কিন্তু তাদের সব অস্ত্রই উদ্ধার সম্ভব হয়নি। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কেউ কেউ আবারও পুরনো পথে ফিরছে।
উপকূলে অস্ত্রের ব্যবহার রয়েছে বরে স্বীকার করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম। তবে তা উদ্ধারে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চালায় উল্লেখ করেন তিনি। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নোয়াখালীতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সব সংস্থা সমন্বয় করে কাজ করছে।
/এমএন