চব্বিশ ঘণ্টা না পেরোতেই নিজের অবস্থান বদলালেন কাজী সালাহউদ্দীন। তার দাবি- সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চরম গাফিলতির পরিচয় দিয়েছেন ফিফা থেকে নিষিদ্ধ হওয়া আবু নাঈম সোহাগ। তাই সোহাগের কাজের কোনো দায় নেবেন না তিনি। নিরপেক্ষ তদন্তও করবে বাফুফে।
সাম্প্রতিক বিষয়ে যমুনা টিভির কাছে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দীন।
ফিফা থেকে আবু নাঈম সোহাগের নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে গতকাল প্রশ্ন করা হলে উত্তর না দিয়েই সংবাদ সম্মেলনের স্থান ত্যাগ করেন সালাহউদ্দীন। সেখানে সোহাগের পাশে থাকারই ইঙ্গিত ছিল তার। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করলেন বাফুফে সভাপতি। ফিফার ৫১ পৃষ্ঠার রায় পরেই হতবাক হয়েছেন তিনি।
ফোনালাপে যমুনা টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কাজী সালাহউদ্দীন বলেন, আমি একটা জরুরি সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলাম। তবে আমাদের দু’জন ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের বাইরে আছেন। তাই আমি সভা ডাকতে পারিনি। তারা কাল দেশে এসে পৌঁছাবেন। সবাই এলে পরশুদিন আমরা বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নেবো। এরপর আপনাদের জানিয়ে দেবো পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। আপাতত ফিফা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা সেখানেই আছি।
বাফুফের ফিনান্স কমিটির ব্যর্থতার কথা জানিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, এরা এতো ছোট ছোট জায়গায় গাফিলতি করেছে এটাতে আমি সত্যিই মর্মাহত। আমার পক্ষে তো সম্ভব না একাউন্ট সেকশন বা সবকিছু দেখা। এখানে কমিটি আছে সবই আছে। আমি গতকাল বসে বসে প্রতিটা পয়েন্টসহ সবকিছু দেখলাম কিন্তু এখানে এটা সম্পূর্ণ গাফিলতির একটা বিরাট অংশ।
নিজের দায়ও এড়াতে চান না বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দীন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আমি ফুটবল ফেডেরেশনের সভাপতি আমি দায় এড়াতে চাই না। কেননা, টেলিভিশনে কিন্তু আমাকেই সবাই গালাগাল করছে। তাই কে দোষ করেছে এসব না দেখে সবাই যদি কাগজটা দেখে, তাহলে সেখানেই পরিষ্কার রয়েছে কে কে জড়িত ছিল, আর কে কে জড়িত নয়। আইনজীবীরা যা বলছে তারা সঠিক কথাই বলছে। কারণ আমি ওভাবে চিন্তাও করিনি। এরপরেও দোষটা আমার ওপরেই এসে পড়ে।
আরআইএম/ইউএইচ/