১৪’শ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে

0
6

লক্ষীপুরের বহুল আলোচিত এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের অবৈধ সম্পদ ও অর্থ পাচারের অভিযোগে তার সবকিছুর অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। তার বিরুদ্ধে ১৪’শ কোটি টাকা পাচার ও অবৈধ ভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে। দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক জানান, এই অনুসন্ধানে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে পাপুল এর এপিএস বলছেন, সব অভিযোগই রাজনৈতিক।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেকটা উড়ে এসে জুড়ে বসার অভিযোগ শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে। আওয়ামীলীগের কৃপায় ২০১৮ সালে প্রথম দফা চেষ্ঠাতেই স্বতন্ত্র এমপি বনে গেছেন লক্ষীপুর ২ আসনে।

রাজপথে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় নয় কুয়েতে মারাফি কুয়েতিয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক পাপুল হঠাৎ এমপি হয়েছেন অঢেল অর্থবিত্তের প্রভাবে। শুধু নিজেই নয়, অভিযোগ আছে টাকার জোরে স্ত্রী সেলিনা ইসলামকে বানিয়েছেন সংরক্ষিত আসনের এমপি। তার বিপুল অর্থের বৈধতা ও রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন আছে এলাকাবাসীর।

মানব পাচারের ঘটনায় পাপুল খবরের শিরোনাম হয়েছেন কুয়েতের আল কাবাস পত্রিকায়। দুদকে পাপুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, পাচার ও কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ। এর মধ্যে রয়েছে এনআরবি, কমার্সিয়াল ব্যাংকে স্ত্রী ও তার নামে ৮০ কোটি টাকার শেয়ার, গুলশানে ফ্ল্যাট, কুমিল্লার মেঘনায় ৯১ কোটি টাকার জমি, স্ত্রী ও সন্তানের নামে ৭০ কোটি টাকার বন্ড ও ৬৫ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত।

মধ্যপ্রাচ্যে কয়েকটি দেশ সহ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেও পাপুলের অবৈধ সম্পদ পাচারের খোঁজে নেমেছে দুদক। নিয়োগ করেছে তদন্ত কর্মকর্তা।

অভিযোগ উঠার পর এমপি পাপুল অনেকটা আড়ালে। থাকছেন না গুলশানের বাড়িতে। পাপুলের ব্যাবসা ও রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদকর্মীরা যোগাযোগ করতে গেলে দেখেন তা অনেকটাই ফাঁকা।

এপিএস অনানুষ্ঠানিক ভাবে বলার চেষ্ঠা করলেন কুয়েতে ৩০ বছরে ঠিকাধারি ব্যবসাই সম্পদের মূল উৎস।