ভারতের দিল্লিতে সহিংসতা ও প্রাণহানীর জন্য মুসলিমদের দায়ী করেছে কট্টরপন্থী কিছু হিন্দু গোষ্ঠী। শনিবার নয়াদিল্লিতে বিশাল এক বিক্ষোভ করে তারা।
নাগরিকত্ব আইন CAA ও NRC বিরোধিদের জিহাদি ও সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেয় সরকার সমর্থক এসব গোষ্ঠী। দাবি তুলেছে ভারতের সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতা বাদ দেয়ার। সোম ও মঙ্গলবারের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪২ জনে।
ভয়াবহ সহিংসতার পর থমথমে দিল্লি। শতাধিক মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার আতঙ্কে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা গুলো জন শূন্য।
এ অবস্থায় শনিবার ফের মাঠে নামে কট্টরপন্থী কয়েকটি হিন্দু গোষ্ঠী। মোদি সরকারের প্রতি জোরালো সমর্থন তাদের। সোম ও মঙ্গলবারের সহিংসতার জন্য মুসলিমদের দায়ী করছে তারা। অভিহিত করেছে জিহাদি ও সন্ত্রাসফাদী হিসেবে।
নির্বিঘ্নে মোদি সমর্থকদের সমাবেশ হলেও মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা রয়েছে পুলিশের কড়া নডরদাড়িতে। মোতায়েন করা হয়েছে আধা সামরিক বাহিনীও। হামলা – মামলার ভয় উপেক্ষা করে যারা রয়ে গেছেন তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে ত্রাণ ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তার উপর।
চার দিনের তান্ডবে মাথা বুজার টাই হারিয়েছেন অনেকে। হামলায় এমন অবস্থা হয়েছে যে তাদের খাবার জন্য কিছু অবশিষ্ঠ নেই। সব কিছু লুটপাঠ করে ফেলা হয়েছে। সহিংসতা কয়েকদিন পেরোলেও অনেকে কোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনের। বিভিষিকাময় মুহূর্তগুলোর কথা মনে করে এখনো শিউরে উঠছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা।
এদিকে বিতর্কিত নাখরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে মেঘালয়েও। সহিংসতায় রাজ্যটিতে প্রাণ গেছে এক খাঁসিয়া তরুণের।