ওসির রুমে ঢুকতে লাগবে না অনুমতি, নেই সম্বোধনের বাড়াবাড়ি।
রাজবাড়ির গোয়ালন্দ থানায় অভিনব এই উদ্যোগ নিয়ে নজির সৃষ্ঠি করেছেন এক পুলিশ কর্তা।
নরী নির্যাতন বন্ধে সালিশি উদ্যোগ আর অপরাধ দমনে জনগণের দবরবারের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
যেখানে থানার সর্বোচ্চ কর্তার দপ্তরে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত অথচ ব্যতিক্রম এখানে। এখানে প্রবেশ করতে লাগে না কোনো অনুমতি। জনগণের জন্য এই দোয়ার খোলা সব সময়।
এতে খুশি রাজবাড়ির জনগণরাও।
রাজবাড়ির গোয়ালন্দ ঘাট থানায় এই জনবান্ধব পরিবেশের উদ্যোক্তা খোদ অসি।
তিনি জানান, তার এই কার্যালয়টি জনবান্ধব হওয়ার জন্য সব প্রতিবান্ধকতা শেষ করতে চান। অনেকে তার অফিসে ঢুকতে ইতস্তত বোধ করে, ভয় পায়। কিংবা প্রবেশের জন্য লাগে অনুমতি।
জনগণের আরো কাছে যেতে উনার এই উদ্যোগ।
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের শুরুটা হয়েছিল সম্বোধন বদলের মধ্য দিয়ে।
তিনি আরো জানান, প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে তার উচিত আগে থেকে জনগণের সেবা করা। জনগণ কেন এসে এখানে হাত জোর করবে।
কেউ তাকে স্যার বলুক এটা তিনি চান না। জনগণ তাকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী মনে করুক। জনগণ তাকে স্যার বলার দরকার নাই। ভাই বলুক বাবা বলুক তাতেই তিনি খুশি।
১১ জানুয়ারি কর্মক্ষেত্রে যোগদানের পর এক যৌন কর্মীর জানাজার ব্যবস্থা করে প্রথম আলোচনায় আসেন এই পুলিশ সদস্য। এরপর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর নারীদের উপর নির্যাতন বন্ধে নিয়েছেন সালিশ নিস্পত্তি আর দরবারের উদ্যোগ।
পুলিশ সদস্যের এমন উদ্যোগে সুফল মিলতে শুরু করেছে। প্রশংসা পাচ্ছেন সব মহলে।
শুধু গোয়ালন্দ থানা নয় দেশের প্রতিটি থানা হোক জনগণের আস্থার জায়গা। পুলিশ হোক বিপদের বন্ধু, সত্যিকারের জনবান্ধব।