সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় সদ্য নিয়োগ পাওয়া রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী মুশফিক বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আমার প্রতি যে আস্থা এনেছেন, বিশ্বাস স্থাপন করেছেন আমি সর্বতোভাবে সেই আস্থা-বিশ্বাসের প্রতি যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করতে চেষ্টা করবো। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের টিমে কাজ করতে পারা গ্রেট প্রিভিলেজ এবং গ্রেট অনার।
সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের থেকে বিভিন্ন সময়ে অভিভাবক সুলভ ভয়েস পেয়েছি। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে চেনেন এটা আমার বড় অর্জন।
তিনি রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পাওয়ার খবরে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তার শুভানুধ্যায়ীরা মুশফিকুল ফজল আনসারীকে ঘিরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সবার মধ্যমণি হিসেবে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন মুশফিক। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটির পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন বিভাগের সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে প্রধান উপদেষ্টা সম্পর্কে মুশফিক বলেন, ‘আমি খুব সৌভাগ্যবান, আমি সবসময় বলেছি, যাকে নিয়ে সারাবিশ্বে গর্ব করে, যার পরিচয়ে আমরা পরিচিত হই, আমি যখন তার ব্যক্তিগত স্নেহ এনজয় করি, আমি মনে করি তিনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন-জানেন এটা আমার কাছে সবচেয়ে বড় অর্জন। আজকে আমার বলতে দ্বিধা নেই, বিভিন্ন সময়ে তার অভিভাবক সুলভ ভয়েস উনার থেকে পেয়েছি।
মুশফিক বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূসকে বাংলাদেশের মানুষ পেল কিন্তু কাজে লাগাতে পারলো না এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের আর কিছু হতে পারে না।
আমি মহান আল্লাহতালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি এ কারণে যে আমাকে কোনো ধরনের লোভ-লালসা স্পর্শ করতে পারেনি। আমি প্রতিনিয়ত চাইতাম আমি যাতে কোনো লোভের কাছে নতি স্বীকার না করি। আমাকে অসংখ্য মানুষ ভালবাসে, আমি অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমাকে লোভ স্পর্শ করলে এ মানুষগুলোর প্রতি অবিচার করা হবে।’
সাংবাদিকতার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের কিছু টানাপোড়নের মুহূর্ত ও স্মরণ করেন মুশফিক। সেই দুঃসময়ের সহযাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এর আগে আমি বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছি, যা আমি গর্বের সঙ্গে স্বীকার করি।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রেজিম চেঞ্জ করেনি মন্তব্য করে মুশফিক বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বুকের তাজারক্ত দিয়ে রেজিম চেঞ্জ করেছে। হাসিনা এবং তার প্রেতাত্মারা যেন আর না ফিরতে পারে সেজন্য তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিবেক বন্ধক রাখবো না। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সুশাসন প্রভৃতি ইস্যুতে লড়াই অব্যাহত থাকবে।
কেএইচ/এমএএইচ/