বাইক শেয়ারিং-এর ফাঁকে চলতো ছিনতাই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে তিন ভাইয়ের চক্রের নানা কাহিনী।
চরমপন্থী থেকে আনসার এরপর আবার অপরাধী হয়ে উঠে চক্রের হোতা।
সপ্তাহ দুয়েক আগে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন এক স্কুল শিক্ষক। রাস্তার পাশের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে ছিনতাইয়ের পুরো চিত্র। উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন ভোক্তভোগী।
ঘটনার পরপরই তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় রাইড শেয়ারিং এর বাইক চালানোর ফাঁকে ছিনতাই করে এই চক্র। সদস্য সংখ্যা তিন জন। তাদের ধরতে চলতে থাকে তৎপরতা। এক পর্যায়ে উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় তিনজনই।
পুলিশের দাবি চক্রের প্রধান সার্জল ওরফে বাদশাহ ছিলেন একসময়ের চরমপন্থী দলের সদস্য। এক যুগের বেশি সময় আগে আত্মসমর্পণ করে যোগ দেয় আনসার বাহিনীতে। কিন্তু মাদক সেবনের দায়ে হারাতে হয় সেই চাকরি। এক পর্যায়ে মাদকের টাকা জোগাড় করতে শুরু করে ছিনতাই ডাকাতি।
চক্রের বাকি দুই সদস্য সম্পর্কে আপন ভাই। তাদের আরেক ভাইও ছিনতাইয়ের দায়ে গ্রেফতার হয়ে সিলেট কারাগারে।
তারা বাইক নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বসে থাকতো ছিনতাই করার জন্য। পরে কেউ একা আসলে তাকে ফলো করে তার কাছ থেকে ব্যাগ, টাকা ও বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃতদের কাছে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহার করা দুটি বাইক, আগ্নেয়াস্ত্র, চার রাউন্ড গুলি এবং ছিনতাইকৃত ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই আসামীদের ধরতে পা ভাঙে অভিযান পরিচালনাকারী এক পুলিশ অফিসারের।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।