মধ্যরাতে বোর্ড বসিয়ে ৫৭ জন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে পদন্নতি দিয়েছে কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, কেজিডিসিএল। পদন্নতি পাওয়াদের মধ্যে পেট্রোবাংলার প্রশাসন বিভাগের পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর দুই ছেলেসহ ২০১১ সালে জালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়ায় অভিযুক্ত ৩২ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
এদের সবার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুদক। নিস্পত্তি হওয়ার আগেই পদোন্নতির খবরে বিস্মিত দুদকের আইনজীবীরা। পদন্নতির এই প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে নিয়োগ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক, কারো সার্টিফিকেট নেই, কেউ নিয়োগ পরীক্ষায় পাসই করেনি। অথচ ১০ বছর ধরে চাকরি করছেন কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে গায়েব করে ফেলা হয় ২০১১ সালে নিয়োগ পাওয়া এমন ৩২ জন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ফাইলও। ২০১৮ সালে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দুদক।
এবার ওই ৩২ জনসহ মোট ৫৭ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গেল ২০ আগস্ট মধ্যরাতে বোর্ড বসিয়ে বিতর্কিত এই পদক্ষেপ নেয় পরিচালনা পর্ষদ।
পদন্নতির জন্য মনোনীত বেশিরভাগ কর্মকর্তার ব্যাপারে দুদকের ক্লিয়ারেন্স নেয়ার নির্দেশ দেয় পেট্রোবাংলা। কিন্তু সে নির্দেশনা না মানার অভিযোগ রয়েছে। যদিও ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সেটা অস্বীকার করছেন।
তবে কর্মকর্তাদের অনেকে বলছেন, পদোন্নতির পুরো প্রক্রিয়াটি অনিয়মে ভরা। দ্রুত এই পদোন্নতির প্রক্রিয়া বাতিল এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক ও সচেতন নাগরিক কমিটি।
অভিযোগ রয়েছে কর্ণফূলীর সাবেক এমডি ও বর্তমানে পেট্রোবাংলার পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর দুই ছেলেকে পদোন্নতি দিতেই এই পদোন্নতির আয়োজন।
আরো পড়ুনঃ গরু চুরির অপবাদে মা-মেয়েকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন
ফেইসবুক পেইজঃ আমরা মৌলভীবাজারি – Amra Moulvibazari