টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের রয়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়। নিজের নামে স্বাভাবিক হিসাব দেখালেও স্ত্রী চুমকির নামে করেছেন বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি, মৎস্য খামার, হোটেলের মালিকানা। এর মধ্যে ভারতের আগরতলা ও অস্ট্রেলিয়াতে রয়েছে দুটি বাড়ি। আছে অর্থ-পাচারের অভিযোগও। অসি প্রদীপ ও স্ত্রী চুমকির নামে অবৈধ সম্পদের খোঁজে এরই মধ্যে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দ্রুতই এর প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জানান দুদক সচিব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রামের লালখান বাজারে একটি ফ্ল্যাট, কক্সবাজারে দুটি হোটেলের মালিকানা রয়েছে অসি প্রদীপের নামে। বোয়ালখালীতে স্ত্রীর নামে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি। রয়েছে মৎস খামার। ভারতের আগরতলা ও অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে বাড়ি।
স্ত্রী চুমকি গৃহিণী হলেও ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার মাছের খামার করা হয়েছে তার নামে। পাথরঘাটায় চার শতক জমিও রয়েছে তার নামে। পাঁচলাইশে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ১ কোটি ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ টাকার জমি কেনা হয়। ২০১৭-১৮ সালে কেনা হয় কক্সবাজারে ঝিলংজা মৌজায় ৭৪০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট। যার মুল্য ১২ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
সব স্থাবর সম্পত্তির মুল্য দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকা। এছাড়া অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ লাখ টাকার প্রাইভেট কার, ১৭ লাখ টাকার মাইক্রোবাস ও ৪৫ বড়ি স্বর্ণ। ব্যাংকে দেখানো হয়েছে ৪৫ হাজার ২০০ টাকা। বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগও রয়েছে প্রদীপের বিরুদ্ধে।
দুদক সচিব বলছেন তাদের কার্যপরিধিতে সবকিছু না আসলেও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বাইরেও যদি কিছু থেকে থাকে তা দেখবে তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১৮ সাল থেকেই অসি প্রদঈপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে তদন্ত করে আসছে দুর্নীতি দমন কমিশন।