গরমে বাইরের তাপমাত্রা বাড়লেই বারবার ঠান্ডা পানিতে শরীর কিংবা গলা ভেজাতে ইচ্ছে করে। কারণ শরীরটাকে তো হাইড্রেটেড রাখতে হবে। আর হাইড্রেটেড রাখতে গিয়ে বারবার ঠান্ডা পানীয় পান করলেই ঘটতে পারে বিপদ! আসলে শরীর ঠান্ডা করতে গিয়ে শরীরেরই বিপদ বাড়ে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই বিষয়গুলো।
গরমের দিনে শরীরটা ঠান্ডা করতে ঠান্ডা পানিতে অনেকেই গোসল করেন। এতে আরামও পাওয়া যায়। ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে হার্ট রেট, রক্তচাপ, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিতভাবে এমনটা চলতে থাকলে মেটাবোলিজমের হারও বাড়ে। ফলে দেহের ওজন কমে যেতে থাকে। এছাড়া রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা ও ইমিউনিটি সিস্টেমও উন্নত করে। আসলে এর উপকার অনেক। কিন্তু গবেষকদের মতে, যাদের ইমিউনিটি দুর্বল অথবা হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের ঠান্ডা পানিতে গোসল এড়িয়ে চলা উচিত। আবার কড়া রোদ থেকে ঢুকেই ঠান্ডা পানিতে গা ভেজানো ঠিক নয়।
ওয়ার্ক-আউটের সময় দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত সংবহন ভালো রাখতে ঠান্ডা পানি পান করা উচিত। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনো মওসুমে নিজের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা এড়াতে পানি খেতে হবে। তবে ঠান্ডা পানি না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে পেটের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যেতে পারে। ফলে রক্ত প্রবাহ আর হজম ক্রিয়ার গতি কমে যায়। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করলে পেট ফোলা, হজমে সমস্যা, পেটে ক্র্যাম্পের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়া প্রখর রোদ থেকে বাড়ি গিয়ে এসি ঘরে ঢোকা উচিত নয়। আগে শরীর ঠান্ডা করে নিতে হবে। তারপর এসির ঠান্ডায় প্রবেশ করা উচিত। আসলে শরীরের তাপমাত্রা ওঠা-নামা করলে মুশকিল। ঠান্ডা-গরমে শক তৈরি হতে পারে। যার জেরে রক্তচাপ নেমে গিয়ে মাথা ঘুরে অচৈতন্য হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
তথ্যসূত্র: নিউজ এইটিন
ইউএইচ/