পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবির বিয়ে নিয়ে আদালতে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন মুফতি সইদ। তিনিই ইমরান এবং বুশরার বিয়ে করিয়েছিলেন। মোহাম্মদ হানিফ নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা পিটিশনের শুনানিতেই মৌলবি মুফতি জানিয়েছেন, ইমরান এবং বুশরার বিয়ে শরিয়া আইন মেনে হয়নি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
আদালতের শুনানিতে মৌলবি মুফতি বলেন, ইমরান খান যখন বুশরাকে বিয়ে করেছিলেন, তখন বুশরা বিবি ‘ইদ্দত’ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। মূলত নারীদের স্বামী মারা গেলে বা বিচ্ছেদ হলে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়। তারপরই বিয়ে করা যায়। এই সময়কালকে বলে ‘ইদ্দত’। একে শোকের সময় বলে ধরে নেয়া হয়। তাই এই সময় মুসলিম নারীরা বিয়ে করতে পারেন না। ইমরানের সাথে বুশরার ওই ইদ্দতের সময়ের মধ্যেই বিয়ে হয়েছিল। তবে এর পেছনে ছিল একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।
তিনি জানান, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি লাহোরের ডিফেন্স হাউসিং সোসাইটিতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ইমরানের বিয়ে দেয়ার জন্য তাকে বলা হয়েছিল। সে সময় বুশরা বিবির বোন দাবি করা এক নারী সম্মতি দেয়ার পর এ বিয়ে হয়।
তবে বিয়ে শরিয়া মতে হয়নি সেটি বুঝতে পেরেছিলেন ইমরানও। তাই ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফের তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইমরান খান। বুশরার সাথে তাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে দেয়ার বিষয়েও কথা বলেন তিনি। মুফতির দাবি, প্রথম বারের বিয়েটা যে শরিয়া আইনের বিরোধী, তা বুশরা এবং ইমরান দুজনেই বুঝেছিলেন। কিন্তু ইমরান বিয়ের জন্য নাছোড়বান্দা ছিলেন। তার মনে হয়েছিল, এই বিয়েটা তাকে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করবে।
এসজেড/