আদালতের হস্তক্ষেপে শেষ মুহূর্তে বাতিল হলো ব্রিটেন থেকে রুয়ান্ডায় অভিবাসনপ্রার্থী পাঠানোর কার্যক্রম। মঙ্গলবার (১৪ জুন) গভীর রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল। খবর দ্যা ফ্রান্স ২৪ এর।
গত মাসেই রুয়ান্ডার সাথে পাঁচবছর মেয়াদী একটি চুক্তি করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সে অনুসারে ব্রিটেনে অবৈধভাবে ঢোকা অভিবাসনপ্রার্থীদের ধাপে-ধাপে পাঠানো হবে পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম দফায় ৭ জন রওনা হয়েছিলেন কিগালিতে। জানানো হয়, তারা সিরিয়া ও আফগানিস্তানের নাগরিক।
মূলত মানবপাচারকারী চক্রগুলোকে দুর্বল করতেই ব্রিটিশ সরকারের এ পরিকল্পনা। যার জন্য ১২ কোটি পাউন্ড বাজেট নির্ধারণ করে সরকার। কিন্তু এ উদ্যোগের গভীর সমালোচনা করেন প্রিন্স চার্লস। জানান, রুয়ান্ডায় আসন্ন কমনওয়েলথ বার্ষিক সম্মেলনে এ ইস্যুতে তিনি প্রশ্নের মুখে পড়বেন। এর আগেই, ব্রিটিশ আপিল আদালতে বিষয়টি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস (ইসিটিএইচআইআর)। জুলাইয়ে হবে পরবর্তী শুনানি। সেই পর্যন্ত কোনো অভিবাসনপ্রার্থীকে পাঠানো যাবে না অন্য দেশে।
বরিস জনসন বলেন, সরকারের গৃহীত উদ্যোগ পুরোপুরি বৈধ এবং ভ্রাতৃত্বসুলভ। আমরা চাই, ব্রিটেনে প্রবেশের আইনি পার্থক্যটা বুঝুক অভিবাসনপ্রার্থীরা। জীবনের কোনো ঝুঁকি ছাড়া মানুষজন যুক্তরাজ্যে আসুক। বৈধ উপায়ে এবং নিরাপদে তারা আশ্রয় গ্রহণ করুক, তাতে কোনো সমস্যা নেই। মূলত মানবপাচারকারীরা নীতিমালা লঙ্ঘন করছে, সেটি বন্ধেই এ উদ্যোগ। এরজন্য আইনে সংস্কার আনতে হলে তাতেও রাজি তিনি।
এসজেড/