মারা গেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জাপানি নারী কানে তানাকা। ১১৯ বছর বয়সে গত ১৯ এপ্রিল মারা গেছেন তিনি। জাপানের ফুকুওকা শহরের গভর্নর সেইতারো হাত্তোরি সোমবার (২৫ এপ্রিল) একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর ইউএস টুডের।
বিবৃতিতে হাত্তোরি বলেন, কানে তানাকার মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। চলতি বছরের ‘রেসপেক্ট ফর দ্য এজড ডে’ (সেপ্টেম্বরে জাপানের জাতীয় ছুটির দিন, এদিন বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান জানায় জাপানিরা) আমি কানে তানাকার সাথে উদযাপনের অপেক্ষায় ছিলাম।
তানাকার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে এপ্রিলেই তাকে একবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল জানিয়ে টুইট করে তার পরিবার। জীবদ্দশায় স্প্যানিশ ফ্লু এবং কোভিড-১৯ এর মতো দু’টি বড় মহামারি দেখেছেন কানে তানাকা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাপানে ১১৯তম জন্মদিন পালন করেন কানে তানাকা। ওই সময় তার পরিবার জানায়, পরের বছর অন্তত ১২০তম জন্মদিন পালন করতে চান তিনি। আবারও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিতে চেয়েছিলেন এই নারী। এর আগে ২০১৯ সালে ১১৬ বছর বয়সে প্রথম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নেন কানে তানাকা। তখনই বিশ্বের নজরে আসেন তিনি।
টুইটারে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ১১৬ বছর ২৮ দিন বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি এবং বেশি বয়স্ক জীবিত নারী হিসেবে স্বীকৃতি পান কানে তানাকা। সবচেয়ে বেশি দিন বাঁচা দ্বিতীয় ব্যক্তিও তিনি। ১২২ বছর বাঁচা জিন ক্যালমেন্টের পরই এই রেকর্ড তার দখলে। তানাকার মৃত্যুর পর এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি ও বেশি বয়স্ক জীবিত নারীকে খোঁজা হচ্ছে।
এসজেড/