Site icon Amra Moulvibazari

নিজেকে কখনোই অনিয়মিত বোলার ভাবি না: মোসাদ্দেক

নিজেকে কখনোই অনিয়মিত বোলার ভাবি না: মোসাদ্দেক


দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের নায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

শুরু থেকেই চাপে রেখে প্রতিপক্ষের রান আটকানোর কৌশল ছিল বাংলাদেশের। লক্ষ্য ঠিক রেখে খেলতে পারলে সিরিজ জয়ের বিষয়ে আশাবাদী মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। প্রথম দুই ম্যাচে লিটন ভালো শুরু করায় প্রশংসা ঝরেছে এই অলরাউন্ডারের কণ্ঠে। আরও জানালেন, নিজেকে কখনোই অনিয়মিত বোলার ভাবেন না মোসাদ্দেক।

দলের প্রয়োজনে যেকোনো মূহূর্তে অবদান রাখতে পারাকে বড় করে দেখেন ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে শুরুতেই ম্যাচের পাল্লা বাংলাদেশের দিকে ঘুরিয়ে দেয়া মোসাদ্দেক। তিনি বলেন, আমি যখন বোলিং করি কখনোই ভাবি না আমি অনিয়মিত বোলার। আমি দায়িত্ব নেয়ার চেষ্টা করি যে, প্রধান বোলার হিসেবেই বল করছি। আর উইকেটটা যদি খেয়াল করেন তো দেখবেন, বোলারদের জন্য উইকেটে খুব বেশি সাহায্য ছিল না।

টি-টোয়েন্টিতে দীর্ঘদিন ধরে জয়বঞ্চিত বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে সফরে এসে অপেক্ষার পাল্লাটাও ভারি হলো টাইগারদের। প্রথম ম্যাচে হার জুটেছিল ১৭ রানে। সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয় ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না সোহান-মুনিমদের সামনে। মোসাদ্দেকের দিনে জ্বলে উঠলো পুরো দল। এই অলরাউন্ডারের স্পিন ভেল্কিতে ছন্নছাড়া স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম থেকেই রান আটকে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার কৌশল ছিল টাইগারদের।

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেন, আগেরদিন আমরা দেখেছিলাম ২০০ রান হয়েছে। সেখান থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল, প্রতিপক্ষকে ১৬০-৭০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারলে সেটা দলের জন্য ভালো হবে।

দুই ম্যাচে লিটন কুমার দাসের ব্যাটিং ছিল প্রশংসনীয়। এই ওপেনারের ব্যাটে দলের জন্য ভালো ভিত তৈরি হয় বলে জানান মোসাদ্দেক। সেই সাথে আফিফ-শান্তদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের কথাও বলেন তিনি। মোসাদ্দেক বলেন, লিটন প্রতিদিনই আমাদের জন্য ভালো একটা শুরু করে দিচ্ছে। দলের জন্য যেটা খুবই ভালো যে, রান তাড়া করতে গেলে যেমন সূচনা দরকার লিটন তেমনটাই করে দিচ্ছে। আর শেষের দিকে আফিফ ও শান্ত পরিপক্বতা দেখিয়েছে। আশা করি, আমরা ভালো কিছু করতে পারবো।

আরও পড়ুন: বলে-ব্যাটে উজ্জ্বল মোসাদ্দেক ও লিটন, সহজ জয়ে সিরিজে সমতা আনলো বাংলাদেশ

/এম ই



Exit mobile version