রাজধানীতে রাত যত গভীর হয় সড়কে সড়কে ততই বাড়ে চাঁদাবাজির আধিপত্য । মালবোঝাই ট্রাক কিংবা পিকআপ , রাজধানীতে প্রবেশ বা বের হবার পথে , কারেরই নিস্তার মেলে না লাঠিয়াল চাদাবাজদের তান্ডব থেকে । গুনতে হয় ৩০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত । রাজধানীর সড়কে পণ্যবাহী পরিবহণ চলাচলে সরকারিভাবে কোনো প্রজ্ঞাপন বা বৈধতা থাকলেও মাসের পর মাস চলছে এমন রমরমা চাদার বাণিজ্য ।
গভীর রাত ,
রাজধানীর গোলাপবাগ সড়ক । শিকারের খোঁজে ওৎপাতা লাঠিয়াল বাহিনী । একেকটি পণ্য বোঝাই ট্রাক বা পিকআপ আসলেই হামলে পড়ে টাকা আদায় । ছোট বড় ভেদাভেদে তোলা হয় ৩০ থেকে ১০০ টাকা । নিস্তার নাই মালবাহী একটি পরিবহণেরও ।
আধা কিলোমিটার সামনেই যাত্রাবাড়ী মোড়ে তো ভয়াবহ চিত্র । রীতিমত থানা পুলিশের সামনেই চলছে চাঁদাবাজি । সিটি কর্পোরেশনের পোশাক পরেই চাদা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা । জিজ্ঞেস করতেই জানালেন সিটি করর্পোরেশনের ইজারায় তুলছে এসব টাকা ।
পাশেই কাজলাব্রীজ এলাকায় ফ্লাইওভারের টোল দিয়ে নেমেও চাঁদাবাজদের হাত থেকে নিস্তার পায়নি এই ট্রাক ড্রাইভার ।
পরে জিজ্ঞেস করতেই রীতিমত সন্ত্রাসী কায়দায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসে সংবাদকর্মীদের উপর । টোকেনে শুধুমাত্র পিকআপ থেকে চাঁদা উঠানোর কথা থাকলেও লাঠিয়ালদের চাঁদা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা কেউই ।
ডেমরা রোডেও রাতজুড়ে প্রকাশ্যেই চলে চাদাবাজি । করোনা কি মহামারি , রাজধানীর সড়কজুড়ে এসব চাদাবাজদের দাপটে অতিষ্ট পরিবহণ চালকরা ।