যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি পুলিশ সদস্য ডেরেক শৌভিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে । মঙ্গলবার ১২ সদস্যের জুরির একটি প্যানেল এ মামলার রায় ঘোষণা করেন । তার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগই আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় ৪০ বছর কারাদণ্ডাদেশ পেতে পারেন শৌভিন । এই রায় কেবল ন্যায়বিচারের শুরু , এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ।
অবশেষে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে নতুন দিগন্তের দেখা পেলো যুক্তরাষ্ট্র । গেল বছর কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের মামলায় বরখাস্তকৃত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শৌভিনের বিরুদ্ধে আরোপিত সবগুলো অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে । হেনেপিন কাউন্টি আদালতে মঙ্গলবার এ রায় পড়ে শোনান জুরি বোর্ডের বিচারকরা ।
রায়ের দিন তার জামিনের আবেদন করা হলে তা প্রত্যাহার করে আট সপ্তাহের জন্য শৌভিনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত । রায় ঘোষণার সময় আদালতের বাহিরে জড়ো হন অসংখ্য মানুষ । তাদের মুখে ছিল ন্যায়বিচার এবং ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস স্লোগান ।
এই রায় ঘোষণার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যাদের অবদানের কারণে আদালত রায় শোনাতে পেরেছে তাদের ধন্যবাদ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ।
জর্জ ফ্রয়েডের পরিবারের সাথেও কথা বলেন তিনি । কোনো কিছুই আর তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবেনা । তবে আজকের এই রায় যুক্তরাষ্ট্রের ন্যায়বিচারের দিকে অগ্রসর হওয়ার এক বিশাল পদক্ষেপ ।
এক টুইটবার্তায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন , সঠিক কাজ করেছে জুরি । তবে সত্য ও ন্যায়বিচারের জন্য আরো অনেক কিছুই প্রয়োজন । যুক্তরাষ্ট্রে পদ্ধতিগত বর্ণবাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস । জাল টাকা ব্যবহারের অভিযোগে গেল বছরের ২৫ মে ৪৬ বছর বয়সী ফ্রয়েডকে গ্রেপ্তার করে মিনিয়াপোলিস পুলিশ । সেসময় হাতকড়া অবস্থায় তাকে মাটিতে শুইয়ে ঘাড়ে প্রায় ৯ মিনিট চেপে বসেন চৌভিন ।
বারবার শাসকষ্টের কথা বলার পরেও ফ্লয়েডের ঘাড় থেকে নামেননি তিনি । এক পর্যায়ে মৃত্যু হয় তার । ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপেও ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পরে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ ।