Site icon Amra Moulvibazari

কোন দেশের এজেন্ট জানালেন বাঁধন

কোন দেশের এজেন্ট জানালেন বাঁধন


একের পর এক কাঁটার আঘাতে পর্যুদস্ত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। কখনো ভারতীয়, কখনো মার্কিন এজেন্ট হিসেবে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাকে। অবশেষে তিনি নিজেই স্বীকার করলেন তিনি কোন দেশের এজেন্ট।

আজ (২৬ মে) সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে বাঁধন লিখেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের এজেন্ট, যে সত্যিই তার দেশকে ভালোবাসে!’ তিনি লিখেছেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, “তুমি কখন এত দেশপ্রেমিক হয়ে উঠলে?” আমি যখন ক্রমাগত দেশ নিয়ে কথা বলছিলাম, আমার উদ্বেগ তাকে বিরক্ত করে তুলেছিল। তিনি বুঝতে পারছিলেন যে, ঘটনাগুলো আমার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কতটা গভীর প্রভাব ফেলছিল।’

দেশের প্রতি ভালোবাসা পৈত্রিক সূত্রে পেয়েছেন উল্লেখ করে স্মৃতিকাতরতা হয়েছে বাঁধন। তিনি লিখেছেন, ‘সত্যি বলতে, আমি আমার বাবার দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত। তিনি আমার জীবনে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বাবা খুব দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন। তিনি একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। বহু প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন, যা তার মতো পরিবারের সন্তানের জন্য অবিশ্বাস্যভাবে বিরল। পরে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য নেদারল্যান্ডসে যান। বিদেশে থাকা এবং মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরি করার সুযোগও পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’

বাবার সেই সিদ্ধান্ত মেনে কষ্ট হয়েছিল বাঁধনের মায়ের। তিনি লিখেছেন, ‘আমার মা তার সিদ্ধান্তে পুরোপুরি আশ্বস্ত ছিলেন না। তিনি আমাদের জন্য আরও আরামদায়ক জীবন চেয়েছিলেন। কিন্তু আমার বাবা সবসময় এমন কিছু বলতেন যা আমার মনে গেঁথে গিয়েছিল। বাবা বলতেন, “আমি এই দেশের টাকায় পড়াশোনা করেছি। এখন সময় এসেছে প্রতিদান দেওয়ার। এমনকি যদি আমাকে শুধু ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচতে হয়, তবুও আমি এই দেশেই থাকব।” আমি ছোটবেলা থেকে এই কথাটি শুনে আসছি, এবং এই কথাটাই আমাকে গড়ে তুলেছে। তিনি অনেক বছর সততা ও নিষ্ঠার সাথে দেশের সেবা করেছেন। তাকে নিজের মূল্যবোধ মেনে চলতে দেখেছি যা আমার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।’

বাঁধন লিখেছেন, ‘দেশপ্রেম এমন কিছু নয় যা মানুষ নিয়ে জন্মায়। এটি এমন কিছু যা, সময়ের সাথে সাথে তৈরি হয়। এবং সময়ের সাথে সাথে, আমি সত্যিই দেশের প্রতি আমার ভালোবাসা বেড়েছে। সেই যাত্রায় আমার বাবা ছিলেন একজন বড় প্রভাবসঞ্চারি ব্যক্তি। এ রকম মানুষ আরো আছেন যারা দেশকে ভালোবাসেন, আমি তাদের দ্বারাও অনুপ্রাণিত হয়েছি।’

আরএমডি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version