Site icon Amra Moulvibazari

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি


দ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে মাননীয় উপাচার্য মহোদয় বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকজন শিক্ষার্থী।

রোববার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় ভিসি কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।

২৪-এর গণঅভ্যুত্থানকে উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশের এই স্বাধীনতাকে চিরস্থায়ী করতে, পতিত স্বৈরাচারের উত্থান রুখে দিতে এবং নব্য স্বৈরাচার প্রতিরোধ করতে, দেশের মানুষের গণ-অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে, স্থায়ীভাবে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশসম্মত ক্যাম্পাস বিনির্মাণে, লেজুরবৃত্তিক ভয়াবহ দলীয় ছাত্র রাজনীতির করাল গ্রাস থেকে ক্যাম্পাস নিরাপদ রাখতে ও সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করতে ডাকসুর বিকল্প নেই।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা ডাকসু নির্বাচনের রূপরেখা চাই। আমরা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কখনো স্মারকলিপি, কখনো বিক্ষোভ মিছিল কিংবা কখনো প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবি করেছিলাম। আজও সেই নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই স্মারকলিপি নিয়ে এসেছি। আমরা প্রশাসনের নিকট আশা রাখব যে, তারা আমাদের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির চর্চাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে কাল বিলম্ব না করে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।

স্মারকলিপি দেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ডাকসুর রোডম্যাপের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছি। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের গড়িমসি আমরা লক্ষ্য করছি।

তিনি বলেন, আমরা গত জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে ডাকসুর দাবিতে অনেকদিন আন্দোলন করেছি। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় উপাচার্য বলেছিলেন, কয়েকদিনের মধ্যে ইন্সটিটিউশনাল ই-মেইলের মাধ্যমে ডাকসুর গঠনতন্ত্র এবং ডাকসু নির্বাচন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত নেবেন। কিন্তু সেটি করতে প্রশাসনের ২ মাসের বেশি সময় লেগেছে। মার্চের শেষে এসে এই মতামত নেওয়া হয়। আমরা গত আগস্টে শুনেছিলাম যে, ৩/৪ মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করা হবে। অথচ ৮ মাস অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এখনো ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপই দিতে পারেনি।

কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে মুসাদ্দেক বলেন, আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখতে চাই যে, তারা কাল বিলম্ব না করে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন। যদি তারা সেটি না করেন তাহলে আমারা কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হব।

এএমএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version