Site icon Amra Moulvibazari

১০ বছরের সম্পর্ক শেষ, ম্যানসিটি ছাড়বেন ডি ব্রুইনা

১০ বছরের সম্পর্ক শেষ, ম্যানসিটি ছাড়বেন ডি ব্রুইনা


ম্যানচেস্টার সিটিতে আসার পর পেপ গার্দিওলা যে এত সাফল্য পেয়েছেন, সে সবের মধ্যমনি কে? এ প্রশ্ন যদি গার্দিওলাকে করা হয়, তাহলে তিনি একজনের নামই বলে দেবেন। তিনি কেভিন ডি ব্রুইনা। ম্যনসিটির মিডফিল্ড জেনারেল। বেলজিয়ামের এই মিডফিল্ডার অবশেষে ম্যানসিটি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন। চলতি মৌসুম শেষেই ইত্তিহাদ স্টেডিয়াম ছেড়ে যাবেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

কেভিন ডি ব্রুইনার সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে চলতি মৌসুম শেষেই। তিনি ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন, আর চুক্তি নবায়ন করবেন না। বরং, একজন ফ্রি-এজেন্ট হিসেবে ম্যানসিটি ছেড়ে যেতে চান।

সিটির সঙ্গে ১০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে যাবেন বেলজিয়ামের এই ফুটবলার। এই ১০ বছরে মোট ১৬টি ট্রফি জিতেছেন কেভিন ডি ব্রুইনা। এর মধ্যে রয়েছে ৬টি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, ৫টি কারাবাও কাপ, ২টি এফএ কাপ, দুটি কম্যুনিটি শিল্ড এবং একটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।

এছাড়া দু‘বার প্রিমিয়ার লিগ প্লেয়ার অব দ্য সিজন হয়েছেন দু‘বার। ২০১৯-২০ এবং ২০২১-২২ মৌসুমে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া পোস্টে ব্রুইনা লেখেন, ‘প্রিয় ম্যানচেস্টার, এটা দেখে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, কী কথা বলতে চাই। তাই আমি আর কোনো ঘোরপ্যাঁচ না করে সরাসরি জানিয়ে দিচ্ছি, ম্যানচেস্টার সিটিতে এই কয়েকটা মাসই আমার শেষ।’

ম্যানসিটি ছাড়ার সিদ্ধান্তটা ব্রুইনার জন্য ছিল কঠিন। তবে একটা সময় তো এই কঠিনকে মেনে নিতেই হবে। সে কঠিন সময়টা এসে গেছে। তিনি লিখেন, ‘আমরা যারা পেশাদার ফুটবলার, তারা জানি, এই দিনটা একদিন না একদিন আসবেই। সেই দিনটা আজ এসে গেছে। আর আপনাদের অধিকার আছে, সেটা সবার আগে আমার মুখ থেকেই শোনার। ফুটবলই আমাকে আপনাদের কাছে এনেছে, এই শহরে এনেছে। স্বপ্নের পেছনে ছুটতে ছুটতে, আমি কখনো কল্পনাও করিনি এই সময়টা আমার জীবনটাই পাল্টে দেবে। এই শহর, এই ক্লাব, এই মানুষগুলো- আমাকে সব কিছু দিয়েছে। তাই আমারও সবটুকু উজাড় করে না দিয়ে কোনো উপায় ছিল না।’

>>> সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ডি ব্রুইনার পোস্ট

সিটির হয়ে চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩১ ম্যাচ খেলেছেন ডি ব্রুইনা। গোল করেছেন ৪টি, করিয়েছেন আরও ৭টি। সিটিতে তার ক্যারিয়ার বিবেচনা করলে, এবারের পারফরম্যান্স একেবারেই যাচ্ছেতাই। চোটও তাকে বেশ ভুগিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা ডি ব্রুইনার নিষ্প্রভ থাকা পুরো ক্লাবের ওপর প্রভাব পড়েছে।

ইত্তিহাদে ১০ বছরের ক্যারিয়ারে ডি ব্রুইনা নিজেকে ক্লাবটির ইতিহাসেই অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসেও অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার মনে করা হয় তাকে। সব মিলিয়ে সিটির হয়ে ৪১৩ ম্যাচে ১০৬ গোল তার, করিয়েছেন ১৭৪টি।

আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে সিটি বলেছে, ‘এই গ্রীষ্মে কেভিন ডি ব্রুইনার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ম্যানচেস্টার সিটি তাকে আবেগঘন বিদায় জানাবে, শেষ হবে এই ক্লাবে তার ১০ বছরের উজ্জ্বল এক অধ্যায়। ক্লাব ও আমাদের সব ভক্তরা মিলে এখন প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের সেরাদের একজনকে যথাযথ শ্রদ্ধা এবং বিদায় জানানোর প্রস্তুতি নেবে।’

এক সংবাদ সম্মেলনে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেছেন, ‘ডি ব্রুইনা এই ক্লাব-পরিবারের অংশ। আমাদের জন্য এটা খুব কঠিন এক দিন। কারণ, আমাদের একটা অংশ আমাদের ছেড়ে যাবে। এই দেশে খেলা ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার সে, ম্যানচেস্টার সিটির তো অবশ্যই।’

আইএইচএস/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version