Site icon Amra Moulvibazari

টাঙ্গাইলে ৫০ টাকায় যমুনায় ঘুরতে দর্শনার্থীদের ভিড়

টাঙ্গাইলে ৫০ টাকায় যমুনায় ঘুরতে দর্শনার্থীদের ভিড়


ঈদুল ফিতরের উৎসব ঘিরে টাঙ্গাইলে যমুনা সেতুর পূর্বপাড় যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় দেখা গেছে। যমুনার সৌন্দর্য, সূর্যাস্ত ও যমুনা সেতু দেখার জন্য দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন এখানে। এছাড়াও টাঙ্গাইলের অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

পরিবার পরিজন নিয়ে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। তবে অন্য সময়ের তুলনায় এবার দর্শনার্থীদের ভিড় কম লক্ষ্য করা গেছে। সেসময় বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে দর্শনীয় স্থানগুলো।

ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যমুনা সেতু ও যমুনা পাড়ে ঘুরতে আসেন হাজারো দর্শনার্থী। লেগুনা, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে সেতু পূর্ব এলাকায় ঘোরেন তারা।

এদিকে যমুনা সেতুর পাশেই সদ্য নির্মিত ‘যমুনা রেল সেতু’ দেখতেও ভিড় করছে মানুষ। এছাড়া জেলার মহেড়া জমিদার বাড়ি, টাঙ্গাইল রেলস্টেশন ডিসি লেক ও এসপি পার্কে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

সরেজমিনে যমুনা সেতু এলাকায় দেখা যায়, পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা নৌকায় চড়ে যমুনার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। যমুনা ও রেল সেতুর নিচ দিয়ে নৌকায় বেড়ানো যেন আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের। নদীতে ঘুরতে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা।

ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জাগো নিউজকে বলেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়ানোর জন্য যমুনা নদীর পাড় খুবই সুন্দর। বিশেষ করে সূর্যাস্ত দেখতে অন্যরকম লাগে। আবার ঈচ্ছা করলেই সেতু কাছ থেকে দেখতে পারছি। সব মিলিয়ে আমাদের অনেক ভালো লাগছে। সেতুর পাড় এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি করছি।

নৌকার চালকরা বলেন, যমুনা ব্রিজের নিচ দিয়ে ঘুরে আসতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগে। জনপ্রতি ৫০ টাকা নেওয়া হয়। স্বাভাবিক সময়ে তেমন লোকজন হয় না। তবে ঈদের ৪ থেকে ৫ দিন দর্শনার্থীদের ঢল নামে। এতে আমাদের আয় রোজগার ভালোই হয়।

টাঙ্গাইল শহর থেকে আসা সৈয়দ জাগো নিউজকে বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। যমুনা সেতু ও রেল সেতুর নিচ থেকে ঘুরে আসলাম। সব মিলেয়ে ভালো লেগেছে। পরিবেশ ও আবহাওয়া ভালো থাকায় ঘুরে আনন্দ পেয়েছি।

জাহিদ নামের এক দর্শনার্থী জাগো নিউজকে বলেন, যমুনা সেতু ও রেল সেতু একসঙ্গে হওয়ায় অনেক দর্শনার্থীই ঘুরতে আসছেন। বন্ধুদের সঙ্গে আমিও ঘুরতে এসেছি। ঘুরে খুব ভালো লাগছে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। টহল পুলিশ ও মোবাইল টিম পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নজরদারি করছে।

আব্দুল্লাহ আল নোমান/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version