Site icon Amra Moulvibazari

ইনভেস্টমেন্ট সামিটে অংশ নেবে চীন-ভারতসহ বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশ

ইনভেস্টমেন্ট সামিটে অংশ নেবে চীন-ভারতসহ বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশ


বৈশ্বিক বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে বাংলাদেশে। আগামী ৭ থেকে ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডার) আয়োজনে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫’ এর মাধ্যমে এ সুযোগ তৈরি হবে।

চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সিঙ্গাপুর ও ভারতসহ বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের ২ হাজার ৩০০ জনের বেশি বিনিয়োগকারী এ সামিটে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে সাড়ে ৫ শতাধিক বিদেশি বিনিয়োগকারী রয়েছেন।

রোববার (২৩ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমের কাছে সামিটের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন বিডার নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

বিডার নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরা, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী অর্থনৈতিক সংস্কার প্রদর্শন করা এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ সংযোগ তৈরি করায় সামিটের মূল লক্ষ্য।

সামিটে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় করপোরেট ব্যক্তিত্বরা অংশ নেবেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন- জারা গ্রুপের সিইও অস্কার গার্সিয়া মেসেইরাস, ডিপি ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলাইয়েম, ব্রিটিশ ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন, স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট কিয়ংসু লি, গিওর্দানো-র সিইও জুনসিওক হান, এক্সেলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট স্টিভেন কোবোস, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের উবারের পাবলিক পলিসি প্রধান মাইক অর্গিল এবং মেটার পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর সারিম আজিজ।

এছাড়া বি ক্যাপিটাল, গবি, কনজাংশন, মারুবেনি এবং জিএফ আরের মতো ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানগুলো স্টার্ট-আপ বিনিয়োগ ও ডিজিটাল অর্থনীতির প্রসারে কাজ করবে।

সামিটের অংশ হিসেবে, ৭ এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়ার ২৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলসহ বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চট্টগ্রাম, মিরসরাই ও কোরিয়ান ইপিজেড পরিদর্শন করবেন। একই দিনে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্টার্ট-আপ সংযোগ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। ৮ এপ্রিল, বিনিয়োগকারীরা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। দিন শেষে একটি বিশেষ নেটওয়ার্কিং অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া আগামী ৯ এপ্রিল সামিটের মূল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এটি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত, নীতিনির্ধারক এবং শীর্ষ ব্যবসায়ী ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। এদিন তরুণ উদ্যোক্তা এক্সপো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি আয়োজিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে ব্রেকআউট সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বাংলাদেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আয়োজন করা হবে।

১০ এপ্রিল সামিটে বিভিন্ন ব্রেকআউট সেশন অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে ডিজিটাল অর্থনীতি (সিটি এনএ ও ইউএনডিপি), টেক্সটাইল (এইচএসবিসি ও বিজিএমইএ), কৃষি ও কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ (ডাচ দূতাবাস ও এলসিপি) এবং স্বাস্থ্যসেবা (ইন্সপিরা, ইবিএল ও সাজিদা ফাউন্ডেশন)-এর ওপর আলোচনা হবে। এছাড়া, বিনিয়োগকারীদের জন্য ম্যাচমেকিং সেশন এবং সেরা বিনিয়োগ চর্চা নিয়ে রাউন্ড-টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সামিটের অংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ মিটিং রুম বরাদ্দ থাকবে, যার মধ্যে বোর্ডরুম, লাউঞ্জ, মধুমতি ও তুরাগ কনফারেন্স হল এবং হোটেলের দ্বিতীয় তলায় নেটওয়ার্কিং স্পেস অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সামিটের পার্টনার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে— ইউএনডিপি, এফসিডিও, গ্রামীণফোন, বিশ্বব্যাংক ও ফিকি, জারা যৌথভাবে এফডিআই বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরি বলেন, ‘অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী এখনো বাংলাদেশের প্রকৃত বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন নন। এই সামিটের মাধ্যমে আমরা তাদের বাংলাদেশের সম্ভাবনা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগবান্ধব নীতি এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত করতে চাই।’

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫ দেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন আশিক চৌধুরী।

এমইউ/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version