Site icon Amra Moulvibazari

জমে উঠেছে জুতার বাজার, দাম বেশির অভিযোগ ক্রেতার

জমে উঠেছে জুতার বাজার, দাম বেশির অভিযোগ ক্রেতার


আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ফলে শেষ সময়ে এসে ঈদের কেনাকাটায় যেন জোয়ার এসেছে। অভিজাত শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকান, সবজায়গায় এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। বাদ যায়নি রাজধানীর মিরপুর এলাকার মার্কেট ও শপিংমলগুলোও।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সরেজমিনে মিরপুর-১ মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, মিরপুর মাজার কো-অপারেটিভ মার্কেট, হজরত শাহ আলী (রহ.) সুপার মার্কেট, মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্স, মিরপুর নিউমার্কেটসহ আশেপাশের দশটির অধিক মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের ভিড়ে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের আর কয়েকদিন বাকি থাকায় ক্রেতারা শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করতে এসেছেন। তবে বেসরকারি চাকরিজীবিদের অনেকে এখনো বোনাস পাননি, ফলে তারা এখনো কেনাকাটা শুরু করেননি।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার জুতাসহ ঈদে প্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে। এর পেছনে দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটকে দায়ী করছেন অনেকেই।

মিরপুর শাহ আলী শপিং কমপ্লেক্সের নিচতলায় জামা-কাপড়ের পাইকারি ও খুচরা দোকান, আন্ডারগ্রাউন্ডে ক্রোকারিজের দোকান রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় জুতা, জুয়েলার্স ও কসমেটিকসের দোকান। এ মার্কেটে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ নিজের দোকানে কাস্টমার ডাকছেন, কেউ দামাদামি করছেন। এখানে সব দোকানেই ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

আরও পড়ুন

সুমন সুজের স্বত্বাধিকারী সুমন মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ঈদে নতুন জুতা কেনার চাহিদা সবসময়ই বেশি। ফলে আমরা ভালোই সাড়া পাচ্ছি। মূলত দুপুরের পর থেকে ভিড় শুরু হয়। আমাদের দোকানে সব বয়সী নারী পুরুষের জুতা, স্যান্ডেল, সু ইত্যাদি পাইকারি ও খুচরা মূল্যে পাওয়া যায়।

গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে এসেছেন ফেরদৌস জামান। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আমাদের এলাকা থেকে মিরপুরে কিছুটা কম দামে পণ্য পাওয়া যায় বলেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখানে এসেছি। তবে এখানে এসেও দেখি একই দাম। এ বছর সবকিছুর দাম কিছুটা বাড়তি।

জমে উঠেছে জুতার বাজার, দাম বেশির অভিযোগ ক্রেতার

নাইম সুজের স্বত্বাধিকারী নাইম হাসান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা পাইকারি ও খুচরা মূল্যে জুতা বিক্রি করি। তবে এ বছর দাম কিছুটা বেশি, কারণ আমাদের কাঁচামালের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির চাপতো রয়েছেই।

তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসা মূলত সিজনাল। বছরের দুইটা ঈদে যা সেল হয়। এছাড়া অন্য সময়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের কাছ থেকে পাইকারি দামে জুতা কিনে নেন ব্যবসায়ীরা।

আলেয়া খাতুন নামের এক ক্রেতা বলেন, জুতার দাম বেশি চাচ্ছে। দামাদামি করার পরে মেয়ের জন্য একজোড়া কিনেছি। সবার জন্য কিনে টাকা থাকলে নিজের জন্য কিনবো।

জুতার দোকান ঘুরে দেখা যায় চামড়া, রেক্সিন, পলিফাইবার সহ বিভিন্ন জুতা রয়েছে। তুলনামূলক ছোটদের জুতার দাম কিছুটা বেশি। ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক হাজার টাকার মধ্যে জুতা রয়েছে এসব দোকানে।

এসআরএস/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version