পাঁচ বছরে লাপাত্তা ১ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা। রাষ্ট্রের এই বিপুল পরিমাণ কোথায় গেল বা কোথায় আছে বা আদৌ আছে কিনা তা জানেন না নীতিনির্ধারকরা। রপ্তানি আয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর এই গড়মিলের টাকা দিয়ে ৬ টি পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব।
দেশের পণ্য রপ্তানি আয় ছাড়িয়েছে ৪০ বিলিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির হিসেবে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এই পরিমাণ রপ্তানি হয়েছিল। তবে পণ্য পাঠানোর এই হিসেবের সাথে মিল নেই ফেরত আসা অর্থের।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে ওই অর্থ বছরে ৪০ নয় এসেছিল ৩৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়। তাহলে বাকি ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৪২ হাজার কোটি টাকা গেল কোথায় ?
একই ভাবে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে এসেছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার। মোট ৫ অর্থ বছরে ইপিবির হিসেবে রপ্তানি আয় ১৮০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য তার ছেয়ে ২০ বিলিয়ন ডোলার কম হয়েছে রপ্তানি আয়।
চলতি অর্থ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে এই দুই প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি আয়ের তথ্যের মধ্যেও ১৬৩ কোটি ডলারের হেরফের রয়েছে।