Site icon Amra Moulvibazari

প্রথমদিন থেকেই মেক্সিকোর ওপর চড়াও ট্রাম্প প্রশাসন

প্রথমদিন থেকেই মেক্সিকোর ওপর চড়াও ট্রাম্প প্রশাসন


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই মেক্সিকোর বিষয়ে নজিরবিহীন কঠোর নীতি গ্রহণ করেছেন। মেক্সিকোর অপরাধচক্রগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন (এফটিও) হিসেবে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করার পাশাপাশি তিনি দক্ষিণ সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং অভিবাসন নীতিতে কঠোর পরিবর্তন এনেছেন।

ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্ত অভিবাসন ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছে। মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘গালফ অব আমেরিকা’ রাখার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।

মেক্সিকোর অপরাধচক্রগুলোকে এফটিও হিসেবে ঘোষণা করার এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একেবারেই নতুন। রিপাবলিকানদের মতে, মেক্সিকো থেকে ফেন্টানাইল পাচারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। তবে এই ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে মেক্সিকোতে ব্যবসা ও অভিবাসন কার্যক্রমে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।

আরও পড়ুন>> 

ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে অভিবাসীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সিবিপি ওয়ান নামে একটি অ্যাপ, যা আশ্রয়প্রার্থীদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতো। এছাড়া, কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া এবং ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের জন্য চালু থাকা মানবিক প্যারোল প্রক্রিয়াও বন্ধ করা হয়েছে।

অভিবাসন নীতির এই পরিবর্তনের ফলে হাজার হাজার অভিবাসী মেক্সিকোতে আটকা পড়েছেন। তাদের অনেকেই অপরাধচক্রের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাম ট্রাম্প প্রশাসনের এসব পদক্ষেপে সংযত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি অপরাধচক্র মোকাবিলায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন এবং অভিবাসন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন। তবে সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা এবং সীমান্তে চাপ মোকাবিলায় তার প্রশাসনের কার্যকর পরিকল্পনার অভাব সমালোচিত হচ্ছে।

এছাড়া, মেক্সিকো তার ভূখণ্ডে আটকা পড়া অভিবাসীদের জন্য আর আগের মতো আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করবে না বলে উল্লেখ করেছেন শেইনবাম। তার প্রশাসন ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্ক আরোপ মোকাবিলায় নিজস্ব পদ্ধতিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নীতিগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জটিল করবে। অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বৈধ পথ বন্ধ হওয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা বাড়াতে পারে। অন্যদিকে, অপরাধচক্রগুলোর কর্মকাণ্ডও বাড়তে পারে।

সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version