জুলাই বিপ্লবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক-নার্স ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভাঙচুর অগ্নি-সংযোগ করার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) শাহবাগ থানায় দেওয়া মামলার এজাহারে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২০২৪ এর ৪ জুলাই আনুমানিক সকাল ১০টা ৫০ এর দিকে শাহবাগ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করছিলেন। সেই সময় বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ভেতরে ও ১নং গেটের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরিরত স্বাচিপসহ তৎকালীন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের আজ্ঞাবহ শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা জয় বাংলা স্লোগানসহ বৈষম্যবিরোধীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এজাহারে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা স্লোগান দিলে প্রশাসনিক ভবনের ভেতর থেকে এবং ছাদের ওপর থেকে প্রায় ২৫-৩০ জন চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারী মিলে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ও ভারি বস্তু নিক্ষেপ করতে থাকে। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে অনেক আন্দোলনকারী মারাত্মক জখম হয় যা ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে দেখা যায়। বিবাদীরা ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে আক্রমণ করে আন্দোলনরত ছাত্রদের প্রাণনাশের চেষ্টা করেন বলে উল্লেখ করা হয় এজাহারে। সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাখা হাসপাতালের গাড়ি ও সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুর ও সেগুলোতে অগ্নি-সংযোগ করা হয়। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হিসেবে চিহ্নিত।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এজাহারে আরও উল্লেখ করে, ওই ঘটনার তদন্তে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ভাঙচুর, অগ্নি-সংযোগ ও হত্যাচেষ্টার দায়ে অজ্ঞাতনামা চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, নার্সসহ সব আসামিদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানায় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।
এএএম/এএমএ