Site icon Amra Moulvibazari

সিটি মিনিস্টার পদ থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ

সিটি মিনিস্টার পদ থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ


যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দেশটির লেবার পার্টির নেতা টিউলিপ সিদ্দিক।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও টিউলিপের খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

এর আগে, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে লন্ডনের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানান টিউলিপ।

সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনে টিউলিপকে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের এক আবাসন ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর সঙ্গে তার বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল। টিউলিপ ২০০৪ সালে কোনো ধরনের অর্থ প্রদান না করেই লন্ডনের কিংস ক্রসের কাছে দুই বেডরুমের একটি অ্যাপার্টমেন্ট গ্রহণ করেছিলেন বলে জানা গেছে।

এর আগে বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৪০০ কোটি পাউন্ড আত্মসাৎ করেন এমন অভিযোগে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণে প্রায় ৪০০ কোটি পাউন্ড অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে।

এতে নাম উঠে আসে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে এবং ব্রিটিশ লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকসহ তার পরিবারের পাঁচজন সদস্যের। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদের মধ্যে অন্যতম। তবে সে সময়ও টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

২০১৩ সালে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তিনিসহ বাকি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা নিজেদের স্বার্থে ওই প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ধরেছিলেন।

কেএসআর/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version