কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে স্থানীয় যুবদল নেতার নেতৃত্বে দুই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার চারদিন পর অভিযোগ দিতে ভুক্তভোগী নারীরা সশরীরে থানায় হাজির হন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৯ জানুয়ারি দুপুরে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নে একটি স’মিলের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের যুবদল নেতা মো. মহসিন। কোনো দলীয় পদ না থাকলেও তিনি স্থানীয় যুবদল নেতা হিসেব পরিচিত। অন্যজন হলেন স’মিলের মালিক খোকন মিয়া। বাকিদের পরিচয় জানাতে পারেননি ভুক্তভোগী নারীরা।
ভুক্তভোগীদের দাবি, তারা দুজন বান্ধবী। কুমিল্লা নগরীতে একটি বাসায় একসঙ্গে ভাড়া থাকেন। এরমধ্যে শহিদ নামে এক যুবকের সঙ্গে তাদের একজনের ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৯ জানুয়ারি দুপুরে দুই বান্ধবী মিলে শহিদের সঙ্গে দেখা করতে যান। এরপর ৭-৮ জন মিলে সড়ক থেকে তাদের জোড় করে ধরে স’মিলে নিয়ে যায়। পরে যুবদল নেতা মহসিনের নেতৃত্বে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
ওই নারীরা বলেন, এক পর্যায়ে আমরা তাদের হাত-পা ধরে সেখান থেকে কুমিল্লায় চলে আসি। তারা ভিডিও ধারণ করে রেখেছে। কাউকে বললে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে স’মিলের মালিক খোকন মিয়া পলাতক। অভিযুক্ত যুবদল নেতা মহসিনও এলাকা ছাড়া।
এ বিষয়ে জানতে ওই দুজনকে একাধিকবার ফোন করলেও তাদের মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে মহসিনের বাবা রঞ্জু মিয়া বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার হয়েছে।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, মহসিন যুবদলের কেউ না। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। সে যুবদলের হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন, ভুক্তভোগী দুই নারীর অভিযোগ সূত্রে বিষয়টি জেনেছি। তাদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশ বেরিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
জাহিদ পাটোয়ারী/জেডএইচ