Site icon Amra Moulvibazari

আন্দোলনের মুখে পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ

আন্দোলনের মুখে পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে থাকা ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্র জানায়, এরই মধ্যে ওয়েবসাইটে দেওয়া বইয়ের অনলাইন ভার্সনে আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে নতুন গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ থাকা একটি গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদ জানিয়ে তা সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন।

আদিবাসী শব্দটি বাতিলসহ কয়েকটি দাবিতে তারা রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ঘেরাও করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে এনসিটিবি কর্মকর্তারা তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে চলে যান।

‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির’ যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইয়াকুব মজুমদার বলেন, এনসিটিবি ঘেরাওয়ের পর সেখানে আসেন সদস্য (শিক্ষাক্রম) রবিউল কবীর চৌধুরী। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে, শব্দটা আজকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তারা সংশোধন করায় ধন্যবাদ। কিন্তু এখন আমাদের দাবি, এতে যারা জড়িত; তদন্ত করে তাদেরও শাস্তি দিতে হবে।

জানতে চাইলে এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী রাতে জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়া হয়েছে। ছাপানো বইয়ে নতুন গ্রাফিতি থাকবে। অনলাইনেও আমরা পরিবর্তন করে দিয়েছি। পাশাপাশি এ গ্রাফিতি কীভাবে যুক্ত করা হলো, সেটা নিয়েও খতিয়ে দেখা হবে।

কোন গ্রাফিতি বাদ পড়লো, কোনটা যুক্ত হলো

বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনে একটি গাছে পাঁচটি পাতা। তার প্রত্যেকটি বিভিন্ন ধর্মের নাম লেখা। বাম দিক থেকে পর্যায়ক্রমে লেখা আদিবাসী, বৌদ্ধ, মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান। গাছের পাশে বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘পাতা ছেড়া নিষেধ’।

আপত্তির মুখে এ গ্রাফিতিটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। নতুন যে গ্রাফিতি যুক্ত হয়েছে তাতে কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা ‘বল বীর/ চির উন্নত/ মম শির’ লেখা রয়েছে। নবম-দশম শ্রেণির যেসব বই এখনো ছাপা হয়নি, সেসব বইয়েও পরিবর্তিত গ্রাফিতিটি ছাপা হবে।

এএএইচ/জেডএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version