Site icon Amra Moulvibazari

মুক্তিযোদ্ধা হেনস্তা, ২২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-মানহানির মামলা

মুক্তিযোদ্ধা হেনস্তা, ২২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-মানহানির মামলা


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে হেনস্তার ঘটনায় ২২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মানহানির মামলা হয়েছে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আব্দুল হাই কানু নিজেই বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের প্রবাসী আবুল হাশেম মজুমদার (৪৮), একই গ্রামের ওহিদ মজুমদার (৪০), রাসেল (৩০), ইসমাইল মজুমদার (৪০), বেলাল মজুমদার (৪৫), পেয়ার আহাম্মদ মজুমদার (৩৭), নয়ন মজুমদার (৩২), এমরান (৩৪), পাতড্ডা গ্রামের শিমুল (৩৫), শনপুর গ্রামের রুবেল(৩৫)।

বাকি ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মঙ্গলবার ৫৪ ধারায় গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে শুধুমাত্র ইসমাইল মজুমদারকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

আব্দুল হাই কানু স্বাক্ষরিত অভিযোগটি ফেনীর বাসা থেকে চৌদ্দগ্রামের কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে থানায় প্রেরণ করার পরই মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর আসামিরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনদের ও মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে হয়রানিসহ হুমকি দিয়ে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে আসছে। আসামিরা গত কয়েক দিন যাবত তার কাছে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। উক্ত চাঁদা না দিলে বাড়ি থাকতে পারবে না মর্মে বাদীকে হুমকি দেয়। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে খুন ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ২২ ডিসেম্বর আব্দুল হাই কানু স্থানীয় পাতড্ডা বাজারের একটি ফার্মেসিতে বসা ছিলেন। আসামিরা ওই ফার্মেসিতে গিয়ে টানাহেঁচড়া করে স্থানীয় কুলিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে স্কুলের একটি কক্ষে জোরপূর্বক তাকে আটকে কিল-ঘুষি, লাথি মেরে জখম করে। এক পর্যায়ে আসামিরা বাদীকে মেঝেতে শুইয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় বাদী ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে স্কুলের সামনে এলে আসামিরা কিছু পুরোনো জুতা দিয়ে মালা তৈরি করে তার গলায় পরিয়ে স্কুলের মাঠে ও রাস্তায় হাঁটায়। পরে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তার ১০০ কোটি টাকার সম্মানহানি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আবদুল হাই কানুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে তার ছেলে যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বিপ্লব বলেন, যার নেতৃত্বে ঘটনা সেই আবুল হাসেমসহ অন্য আসামিরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। দাঁড়িয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনার পর বাবা ফেনীতে আশ্রয় নিয়েছেন।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আক্তার উজ জামান জাগো নিউজকে বলেন, আব্দুল হাই কানু স্বাক্ষরিত অভিযোগটি কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে থানায় প্রেরণ করার হলে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

জাহিদ পাটোয়ারী/জেডএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version