সিরিয়ায় ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিরোধী ক্ষোভ। এর মধ্যেই বাশারের বাবা হাফিজ আল-আসাদের একটি ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেছেন বিদ্রোহীরা। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
দামেস্কের শহরতলীতে থাকা ওই ভাস্কর্যটি ভাঙা হয় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর)। ওই দিন আল্লাহু আকবার বলতে বলতে বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে ভাস্কর্যটির মাথা খুলে ফেলে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে সেটি ট্রাকে করে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
এদিকে, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় দারা এবং সোয়েদা শহরের বেশিরভাগ এলাকা দখলে নিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। এরই মধ্যে সেসব এলাকা থেকে সরে গেছে সিরীয় সেনাবাহিনী। দারা শহরটির পতন প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের বাহিনীর জন্য গত এক সপ্তাহে চতুর্থ কৌশলগত ক্ষতি বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২৭ নভেম্বর আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিরিয়ার বিদ্রোহী দল তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে সরকারি বাহিনীর ওপর আকস্মিক হামলা শুরু করে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। একপর্যায়ে বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখল করে নেন। এরপর বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) মধ্যাঞ্চলীয় হামা শহর থেকে পিছু হটে সরকারি বাহিনী।
এইচটিএস নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করাই তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। এদিকে, সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
আরও পড়ুন:
২০১১ সালে স্কুলের দেয়ালে আসাদ-বিরোধী গ্রাফিতি লেখার জন্য একদল ছেলেকে আটক ও নির্যাতন করার ঘটনা কেন্দ্র করে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। সেই থেকে পর্যন্ত এই গৃহযুদ্ধে গত ১৩ বছরে ৫ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সিরিয়ার অর্ধেকেরও বেশি বাসিন্দা তদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় ইরান শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী পাঠিয়েছিল। রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তায় এই বাহিনী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদকে বিদ্রোহ দমনসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা পুনর্দখলে সহায়তা করে।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
এসএএইচ