সিরিয়ায় বিদ্রোহী যোদ্ধারা দামেস্ক ও হোমস শহরের একদম কাছে পৌঁছে গেছেন। এর মধ্যেই খুব শিগগিরই বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার তথ্যানুযায়ী, বিরোধী যোদ্ধাদের উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় মোহাম্মদ আল-জোলানি বলেছেন, আপনারা দামেস্ক ও হোমসের খুব কাছে অবস্থান করছেন। আমরা আশা করছি, যেকোনো সময় সরকারের পতন ঘটবে।
যোদ্ধাদের প্রতি ওই বার্তায় সাধারণ মানুষের প্রতি ভালো আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন এইচটিএস প্রধান। তিনি বলেছেন, আমার ভাইয়েরা, আপনাদের প্রতি আমি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি; আপনারা যেসব শহর ও গ্রামে প্রবেশ করবেন, সেখানকার মানুষের সঙ্গে দয়ালু ও নম্র আচরণ করবেন।’
এছাড়া তিনি অস্ত্র সমর্পণ করার পর সরকারি বাহিনীকে সাধারণ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে ইরাকের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার আল-কায়িম শহরের মেয়র বলেছেন, প্রায় ২ হাজার সিরীয় সেনা সীমান্ত পার হয়ে ইরাকে আশ্রয় নিয়েছেন। সিরিয়ার স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, দামেস্কের চারপাশ থেকে সরকারি সেনারা তাদের অবস্থান থেকে সরে যাওয়ায়, সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিরোধী বাহিনী পশ্চিম দামেস্কের গ্রামাঞ্চলে অগ্রসর হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রগুলো। তারা বলেছে, পূর্ব ঘোউতার বিভিন্ন শহর থেকে সরকারি সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দামেস্কের বাজারগুলোতে খাদ্যপণ্য কিনতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
এদিকে, জাতিসংঘের সিরিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত গেয়ার পেডারসন দেশটিকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, তিনি আশা করছেন, বিরোধী যোদ্ধারা দামেস্কের দিকে অগ্রসর হওয়ার মধ্যে সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।
এর আগে বিদ্রোহীদের এগিয়ে আসার খবরে রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন ওঠে। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয় তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, বাশার আল আসাদ দামেস্কেই অবস্থান করছেন।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ