কিংসটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রান করেও লিড পাওয়াটা বাংলাদেশের কাছে স্বপ্নের মতোই। টাইগারদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার কারিগর হলেন মূলত নাহিদ রানা। জ্যামাইকায় গতির ঝড় তুলে একাই তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি ডানহাতি পেসারের প্রথম ফাইফার। এজন্য গতি তারকাকে খরচা করতে হয়েছে ৬১ রান।
রানার দুর্দান্ত বোলিং তোপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৪৬ রানে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। টাইগাররা ২১১ রানে এগিয়ে গিয়ে বসেছে চালকের আসনে।
বাংলাদেশকে ম্যাচের হারানো নিয়্ন্ত্রণ এনে দেওয়ার নায়ক রানা দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্যামেরার সামনে কথা বলেছেন।
রানাকে প্রথমেই জিজ্ঞেস করা হয় ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার পূর্ণ করতে পারার অনুভূতি নিয়ে। স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রানা বলেন, ‘প্রথমে উপরওয়ালার শুকরিয়া আদায় করতে চাই আলহামদুলিল্লাহ, পাঁচ উইকেট পেয়েছি এজন্য। বেশি কিছু ট্রাই করিনি। শুধু চেষ্টা করেছি ব্যাটসম্যানকে রুম (সুযোগ) না দেওয়ার। লাইন টু লাইন কীভাবে বোলিং করা যায় এবং কোন অবস্থাতে কোন ব্যাটারকে কিভাবে বোলিং করা যায় সেটা চেষ্টা করেছি।’
কিংসটনের পিচ ও আউটফিল্ড অনেকটা ধীরগতির। এমন উইকেটে ২১১ রানে এগিয়ে থাকা নিশ্চয়ই কম কথা নয়। চতুর্থ দিনে আরও কিছু রান যোগ করতে পারলেই চ্যালেঞ্জিং একটা লক্ষ্যও দিতে পারবে বাংলাদেশ। রানার প্রত্যাশাও তেমন।
দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে রানা বলেন, ‘অবশ্য এখন আমরা একটা ভালো জায়গায় আছি। এখান থেকে যদি মোট আড়াইশ রানের উপরে যেতে পারি। চতুর্থ দিনে ব্যাটিং করা ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হবে। উইকেটটা একটু অন্যরকম বাউন্স থাকবে, স্পিনারদের জন্য টার্ন থাকবে। সুতরাং ভালো কিছু একটা আশা করছি। চতুর্থ দিনে ভালো কিছু করবো ইনশাআল্লাহ।’
শেষ ইনিংসে কীভাবে বোলিং করা উচিত- এ বিষয়ে রানা বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই উইকেটে বেশি কিছু ট্রাই না করে শুধু লাইন টু লাইন বোলিং করা উচিত। ব্যাটসম্যানকে রুম না দেওয়া ও রান ছাড়া বোলিং করলে ব্যাটসম্যানরা অনেক কিছু ট্রাই করে। আমি মনে করি, লাইন টু লাইন বোলিং করাই বোলারদের জন্য ভালো।’
এমএইচ/এমএস