বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের মধ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র শিবির, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্র মজলিস, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, স্টুডেন্টস অ্যাল্যায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা ও অধিকার রক্ষা পরিষদ। তবে সভায় অনুপস্থিত ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাম সংগঠনগুলো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, কে কতো বড় সংগঠন তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কে কতটুকু শিক্ষার্থীদের পক্ষে রয়েছে। অনেকে বলছেন জুলাই আন্দোলনে আমরা ছাত্র সংগঠনের অবদান অস্বীকার করছি। কিন্তু আমি এটা বিশ্বাস করি না। কখনোই আমরা এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি কারো অবদান অস্বীকার করিনি। আমি মনে করি ছাত্র সংগঠনগুলো পেছনে ছিল বলেই আজকে আমরা সামনে আসতে পেরেছি। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি।
ইসলামী ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি মুহাম্মাদ ইব্রাহীম বলেন, ৫ আগস্টের পরে ১০০ দিন পার হয়ে গেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের এখনো মাঠে থাকতে হচ্ছে। আইনের শিথিলতার অভাবে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। প্রতিদিন নতুন সমস্যা, প্রতি বিপ্লব ঠেকানোর দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের ওপর এসে পড়ছে। অথচ তাদের এখন রাষ্ট্র গঠনে সভা-সেমিনার এবং সিম্পোজিয়াম করার কথা। সংস্কার প্রক্রিয়া কিভাবে হওয়া উচিত তা দেখানোর কথা।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ঠেকাতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে ২৫ নভেম্বর সপ্তাহব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আহমেদ জুনাইদ/আরএইচ/জিকেএস