Site icon Amra Moulvibazari

সিলেটে ধর্মঘটের সুযোগে সৎ ব্যবহার করছে রাইড চালকরা

সিলেটে ধর্মঘটের সুযোগে সৎ ব্যবহার করছে রাইড চালকরা

সিলেটে চলছে পরিবহন ধর্মঘট বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের আজ । সিলেটের সবগুলো পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে চলা এ ধর্মঘটের কারণে নাগরিক ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় গণপরিবহন না থাকায় বিপাকে পড়েছেন পেশাজীবী যাত্রীসহ সাধারণ জনগনরা।আর সেই সুযোগে হাতে নিয়ে কোন রকম দর কষাকষি ছাড়াই যাত্রী পরিবহন করছেন মোটরসাইকেল চালকরা যারা রাইড শেয়ারিং অ্যাপ প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত।

এছাড়া তারা অ্যাপকে কেন্দ্র করে চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশী নিচ্ছেন ।এই করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি এগুলো তোয়াক্কা না করে সিলেট নগরীর প্রায় সকল মোড়েই লোকাল বাসের মতো অবস্থান করে ডেকে মোটর সাইকেলে যাত্রী উঠাচ্ছেন চালকরা।আর ভাড়া নিয়ে রীতিমতো দরদামে মেতে উঠছেন তারা।এদিকে অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে যাত্রী না উঠে মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে চড়ে বসা যাত্রী বা চালক উভয়ই অপরিচিত থাকায় কারও তথ্যই কারও কাছে থাকছে না। এতে করে দুজনই অপরিচিত বিপদগামী হওয়ার সম্ভাবনা ।

নগরের চৌহাট্রা থেকে কোর্ট পয়েন্টে গাড়ির অপেক্ষায় ছিলেন সৌরভ নামের একজন ব্যবসায়ী। তিনি উবার এর অ্যাপস ব্যবহার করে যাতায়াত করেন প্রতিদিন। অন্যদিন যেখানে রিকোয়েস্ট পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই উপস্থিত হতো চালকরা, কিন্তু আজ অন্যরকম পরিস্থিতি রিকোয়েস্ট গ্রহণই করছেন না কেউই বলে দাবি তার ।

তিনি বলেন আরো জানান, যদি কেউ কল রিসিভ করে, অ্যাপসের নির্ধারিত দরে যেতে রাজি নয় তারা । তাই রাগ করে রিকোয়েস্ট কাট করে দেই। এ যেন সুযোগে সৎ ব্যবহার করছেন শেয়ার রাইডিং চালকরা ।উপশহর পয়েন্ট থেকে শিবগঞ্জ পয়েন্টে অ্যাপসে ভাড়া আসে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সেখানে দ্বিগুণ ৫০ টাকা দিয়ে যাতায়াত করছেন রাইড নেয়া যাত্রীরা। এদিকে সিলেটের রাইডাররা মোটরবাইক নিয়ে ট্রিপ দিচ্ছেন মৌলভীবাজার পর্যন্ত। সেখানে ভাড়া হাঁকানো হচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়া শেরপুর পর্যন্ত রাইডাররা চাচ্ছেন ৩০০ থেকে ৫০০ পর্যন্ত। অন্যদিকে পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত চলবে। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে ।

Exit mobile version