Site icon Amra Moulvibazari

আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিক হাশেম রেজা কারাগারে

আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিক হাশেম রেজা কারাগারে


আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং দৈনিক আমার সংবাদের সম্পাদক আবু হাশেম রেজাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিতে রফিকুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রোববার (২৪ নভেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মাহাবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) হাশেম রেজাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শুনানিতে বলেন, হাশেম রেজা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। এজহারে হাশেম রেজার নামের মিল নেই। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আফনান সুমি তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামির মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। কললিস্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে আদালত জানান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহাবুল ইসলাম বলেন, হাশেম রেজার নাম সার্চ করলে যে ছবি পাওয়া যায় তার সঙ্গে মিল রয়েছে। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। এজহারনামীয় ১১৮ নম্বর আসামি হাশেম রেজা।

এর আগে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) মিরপুরের বাসা থেকে হাশেম রেজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই অংশগ্রহণ করে যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকা মনোয়ারা হসপিটালের সামনে গুলিতে নিহত হন রফিকুল ইসলাম। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১৯ জুলাই আঞ্জুমান মুফিদুলের মাধ্যমে মরদেহ দাফন করা হয়। নিহতের স্ত্রী অনেক খোঁজাখুজির পর ছবি দেখে স্বামীর কবরস্থানের সন্ধান পান।

এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী নার্জিয়া আক্তার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৫ জনকে আসামি করা হয়।

জেএ/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version