Site icon Amra Moulvibazari

৩৭ বছর পর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে প্রকাশ্যে শিবির

৩৭ বছর পর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে প্রকাশ্যে শিবির


১৯৮৬ সালের পর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে প্রকাশ্যে এলো ছাত্রশিবির। চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ ইন্টারমিডিয়েট ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে কলেজটিতে নিজেদের অবস্থান জানান দেয় ইসলামী ছাত্রশিবির।

অনুষ্ঠানে সৎ, দক্ষ ও দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে শিবিরের পতাকাতলে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল দশটা থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের আগ্রাবাদের একটি হোটেলে চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখা শিবিরের উদ্যোগে এই নবীনবরণের আয়োজন করা হয়।

প্রায় ৩৭ বছর পর এই ক্যাম্পাসে এটি শিবিরের প্রথম প্রকাশ্য প্রোগ্রাম। ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ শাখার সভাপতি মুজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের পরিকল্পনা সম্পাদক তানভীর মোস্তফার সঞ্চালনায় এতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ইব্রাহিম হোসেন রনি। প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান। সকাল নয়টায় কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিকতা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবের মূল শক্তি ছিল বাংলার তরুণরা। তরুণরা ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির ওপর চেপে বসা ফ্যাসিবাদকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। আগামী দিনেও তারুণ্যের ঐক্যবদ্ধ শক্তি ও প্রচেষ্টা যেকোনো ধরণের অন্যায় অবিচার রুখে দিয়ে এদেশকে নিয়ে যেতে পারে উন্নতির স্বর্ণশিখরে।

তিনি আরও বলেন, তরুণ ছাত্রসমাজকে মাদক-সন্ত্রাস থেকে দূরে রেখে এবং ইসলামের সুমহান আদর্শে লালন করে সৎ, দক্ষ, নাগরিক হিসেবে তৈরি করার যে লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কাজ করে যাচ্ছে তরুণদেরকে তার সারথী হওয়ার আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, তাকওয়াবান মানুষ হিসেবে ছাত্রশিবিরের জনশক্তিরা নিজেদের গড়ে তুলবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের ভালোবাসতে হবে এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করতে হবে। ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠার পর থেকে সকল জুলুম-বাঁধা আদর্শিক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করেছে। তাই দেশের যেকোন সংকট ও ক্রান্তিকালে ছাত্রশিবির সর্বশক্তি দিয়ে সকল ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙা জবাব দেবে।

প্রধান বক্তা ড. কাজী মো. বরকত আলী বলেন, তরুণদেরকে জ্ঞান ও দক্ষতার সমন্বয়ে নিজেদেরকে গড়ে তুলে আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে অন্যায় ও জুলুম দূর করতে এবং দেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ আবাসভূমিতে রুপন্তরিত করতে ছাত্রসমাজ নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

সকাল নয়টায় কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিকতা।এরপর ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন বায়তুশ শরফ মাদ্রাসার একটি শিল্পী গোষ্ঠী। আর প্রশ্নোত্তর পর্বে জবাব দেন মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি প্রায় দুইশত ছাত্রছাত্রীর পাশাপাশি ছাত্রশিবির কমার্স কলেজ শাখার বিভিন্ন দায়িত্বশীলদের পদচারণায় মুখরিত ছিল। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের কলেজ জীবনের সাফল্য কামনা করা হয়। এ সময় তাদেরকে শিবিরের পক্ষ থেকে ইসলামী সাহিত্য, ডায়েরীসহ আকর্ষণীয় উপহার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের কলেজ সম্পাদক আব্দুল্লাহ তারেক, ক্রীড়া সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, আইটি সম্পাদক সাব্বির হুসাইন সাকিব বক্তব্য রাখেন।

এমডিআইএইচ/এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।
Exit mobile version